সন্ধ্যে ঘেঁষা বিকেলের রোদ্দুর সরিয়ে সরিয়ে ,
বইছে একটা উদ্ভ্রান্ত পাগল পারা বাতাস!
আলো জ্বালাবার সকল সম্ভবনা উদরপূর্তি করে,
জোনাকিরা ঘাপটি মেরে আছে পাকুড়ের ডালপালায়!
এ নির্বাসিত ভূখণ্ড বড় নির্জন বড্ড বেশি সজন রহিত;
পানকৌটি তার ভেজা শরীর শুকিয়ে নিচ্ছে শেষবেলা,
বকের সাদা পাখায় লাল আলোর মাখামাখি,
কলমির পাতা ঘেরা ঘরে ডাহুক লুকলো তার ছানাদের নিয়ে।
সবুজ দৃষ্টি পেরিয়ে দিগন্তে কালো হয়ে আসা তালের সারি-
যেন লীন হতে চায় গভীর আলিঙ্গনে রাতের শরীর জড়িয়ে।
সবই কি রকম যেন,একই ক্যানভাসে হরেক আঁকিবুঁকি।
বিহ্বলতার সুযোগ নিয়ে সময় কখন যেন-
খুলে দিয়ে গেছে রাতের দুয়ার;
ডাঁয়ে,বাঁয়ে,সামনে পেছনে সব দিক থেকেই,
ক্রমে দৃশ্যহীনতা প্রকট।
আজানের শেষ রেশ ক্ষীণ হতে হতে গেছে থেমে;
সেই কখন তুলসীতলা্র প্রদীপ গেছে নিভে,
নিশাচর চোখে চোখ রেখে তবু ছোটে পৃথিবী-
অঙ্ক মেলেনা কোনখানে, কোনভাবে;  
তবু প্রতি রাতে জোনাকিরা জ্বালে মিথ্যে প্রতিশ্রুতির আলো।