একক অন্ধকার দিন।
ঘাতক পৃথিবীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
শোকে আর তাপে পাথর হয়ে যাচ্ছে
আমার জননী।
অথচ রোজদিনই মুখের সামনে
পথ থেকে পথে, উঠোন থেকে আরেক উঠোনে
খ্যামটা নেচে যাচ্ছে যে লোকটা
তাকে জন্মভোর আমি জনক ডেকেছি।
সমাধিগর্ভ সম্বোধনের মতো ধীরে ধীরে
নোনা হয়ে যাচ্ছে আমার স্রষ্টা।
এখন দু'হাত জুড়ে আরাধনা আসে না।


ভালোবাসা আর যাই হোক, প্রেম নয় -
অলীক সময়। মৃত্যুর পাশে বসে
বিনা দোষে
ধীরে ধীরে নিভে যাচ্ছে সৌন্দর্য্যমন্ডিত পল-
মৃতবুক খুঁটে খায় কিছু কাক। তবু অবিচল
আমি, শুধু রোদ রেখে আসি কাঠেদের পাশে
চাঁদ ডাকে, নদী ডাকে। বিদায়ের মাসে
সাধু সেজে ধুনি জ্বালে কাপুরুষজন -
এখানে কাঁটার মতো গোপন মরণ।
ভালোবাসা আর যাই হোক, প্রেম নয় -
আমাদের দেহ ঘিরে পড়ে থাকে শরিক সময়।


তারপর..
একই জন্মের ভেতর ক্রমশ পুড়ে যায়
এক নরদেহ। তবু কী তীক্ষ্ম সন্দেহ!
জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেছে
বিবস্ত্র শাঁখামানুষীর চোখে
অন্তত এইবার, এতোদিন পর
পারো তো একফোঁটা তন্দ্রা দিও–
জটিল স্রষ্টা।