আমি তো থমকে গেছি,
আমার দাঁড়াবার জায়গা-টুকু আজ
মাটি থেকে সরে গেছে।
আমার সুখের বালুচরে
আজ ওদের বিচরণ।
একটি ক্ষুদ্র ভাইরাস আজ আমার
জীবন মরণের মাঝখানে উঁকি মারছে।
ভাবা যায়, একটু কাশি দিলে
আজ আমার আপনজন
আমার থেকে দূরে চলে যায়।
আমার সন্তানেরা বলে ''বাবা'',
এখন বাড়িতে আসার দরকার নাই।
আমি প্রবাসী, এ কথা গুলো শুনতে হবে
কখনো আশা করি নাই।
আমার ভালোবাসা আজ পরাজিত
ক্ষুদ্র এই ভাইরাস নামক জীবাণুতে।
আমি হাঁচি,কাশি দিতে ভয় পাই
হাঁচি-কাশি না দিতে পারায়
আমার হৃদয়ের স্পন্দন গুলো বন্ধ হয়ে আসে।
যে বন্ধুদের আমি এত ভালবেসেছি
ওরাই আজ কিনা আমাকে এড়িয়ে চলে।
ওদের মনের পিঞ্জরে এখন আর আমার জন্য
ছিটাফোঁটা ভালোবাসা নাই।
আমি তো থমকে গেছি,
ঘরের কোনায় বন্দি হয়ে আছি,
আমার প্রতিদিনের চলার পথ আজ অবরুদ্ধ ।
আমার দরজা-জানালা গুলো খোলা
সূর্যের আলোয় আলোকিত আমার ঘর
অথচ আমার ঘরের মানুষ গুলো অচেনা।
আমার মহীয়সী এখন আর কাছে আসে না
হৃদয়ের কথা কয় না আগের মতো
আমার খবর নেয় না প্রতিদিনের
ফোনে ফোনে জানিয়ে দেয় আমার কি দরকার।
আমার আত্মীয়-স্বজন আমার থেকে দূরে থাকে
যদি না তারা ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হয়।
ভাবা যায়, এ-সব কিছু দেখতে হবে
সৃষ্টিকর্তার দেয়া এ দু'চোখে?
একদিন পৃথিবী শান্ত হবে, মহামারী ও দূর হবে
একে অপরের কাছাকাছি ও আসবে
কিন্তু, মনে থাকবে পৃথিবীর এ নির্মম নিষ্ঠুরতা।
সে দিন ভীষণ কাঁদাবে ..
আমাদের সকলকে কাঁদাবে!!