(১৯৯৪ সালে এই লেখাটির শুরু। আজও শেষের অপেক্ষায়। সেই সময়ে জয় গোস্বামীর একটা সাক্ষাৎকারে তাঁকে স্বপ্ন দেখেন কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন "স্বপ্নরাই দল বেঁধে আমাকে দেখতে আসে আর ভ্যালভ্যাল করে চেয়ে  থাকে। ")


স্বপ্ন দেখার ইচ্ছে আছে
ইচ্ছে আছে তাদের দেখানোর
কাছে যাবার ইচ্ছে আছে
ইচ্ছে আছে অনেক পাবার
ইচ্ছে আছে স্বপ্ন তোকে
থলিতে পুরে আকাশে ওড়ার


স্বপ্ন আমার ইচ্ছে আছে
পুরে দি তোকে সন্ধ্যে শাঁখে
গৃহিণীর ই এক ফুঁয়েতে
তুই যেন বেশ উড়ে যাস
ছড়িয়ে দিয়ে সাঁঝের সুবাস


স্বপ্ন তোকে ঘুম পাড়াবো
ইচ্ছে আছে মনে মনে
স্বপ্ন তোকে কোলেতে তুলে
বেড়াতে যাবো আকাশ পানে


স্বপ্ন তোকে হাওড়া ব্রিজে
মুটো মাথায় দেখতে পাই
স্বপ্ন চ না মারুতি চড়ে
দুইজনেতেই বেড়াতে যাই


স্বপ্ন যাবি লোকসভাতে
ঠান্ডা ঘরে ঝগড়া করি
স্বপ্ন দেখার ভয়ে এখন
খাচ্ছে যারা ঘুমের বড়ি


তুই যাবি আজ আকাশ পানে
স্বপ্ন যেথায় নুতন মনে
পালতোলা এক পাগলা ভোলা
মনের দুপুর খেয়াল খোলা
আঁকছে ছবি একটি রঙে


মাসি পিসির জীবন টানে
কোথায় আকাশ আকাশ নীল
কোথায় আছে স্বপ্ন চিল
তার ফাঁকে আজ হচ্ছে হাল
নীল যমুনার ভরা খাল
একটা কথায় ফুটবে মুখ
একটানা সুখ সুখ দূখ


তারই পাশে অবন চোরা
স্বপ্নে আছে পানসী ঘোড়া
মুখ দিয়ে তাই আঁকছে ছবি
কোথায় গেলে নৌকা পাবি
বলার মাঝেই কাঠঠোকরা
ছিঁড়ছে বাতাস গন্ধ পোড়া


এই পুড়িয়ে হচ্ছে কি যে
স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন সেজে
আর নাচছে আলোর আগুন
ভাগুন মশাই সবাই ভাগুন
নাহলে যে পুড়বে মুখ


আমি না হয় এক উজবুক
গিলছি ধোঁয়া একই মনে
স্বপ্ন দেখি নামতা গোনে
নামতা তখন চুড়ার কাছে
স্বপ্ন সেজে দাঁড়িয়ে আছে


আসছে দেখি পাগলা ভোলা
মনের নিচে খেলায় দোলা
এক হাঁড়ি জল ভর্তি করে
স্বপ্ন দেখায় মনের ভীড়ে
ওই দেখোনা ভীড়কে কেমন
জাপটে ধরে স্বপন ধরন


এখন তুই আর আমি হবো
স্বপ্ন দিয়ে রং ছড়াবো
ভাবছি কি তাই লিখতে হবে
একটা ছবি আঁকতে হবে
তাই ওখানে স্বপন বুড়ি
ভাঙছে দেখ কাঁচের চুরি
তার সঙ্গে একটা ছুতো
রং পালটে বুড়োর জুতো
চল না এবার হাতটা মেলাই
স্বপন ভোরের আকাশে যাই


এইভাবে একদিন স্বপন ভোরের আকাশে যেতে যেতে
সোনার রঙের ভোরের পাখির দেখা
সঙ্গে তার ঘুঙুর পরা নাচ
শৃগাল হয়ে গৃবার আশায় বসে
সঙ্গে গাঙের স্বপ্ন চিলগুলো
এক্কা দোক্কা তিন তেরেক্কা খেলছে
শ্মশানে সোল্লাসে পুড়ছে শতায়ু বৃদ্ধ


যাবার বেলা যাবার কথা
বলার সময় নেই যে ব্যথা
এই সময়ে ভরছি খাতা
সঙ্গে গন্ধ বকুল রং


ওই দেখো চেয়ে আসছে মেয়ে
ক্লান্ত পায়ে আসছে ধেয়ে
রদ্দুরে সে নিচ্ছে নেয়ে
এই কি তার চানের ঢং


কোথায় আকাশ ভরছে জল
স্বপ্ন শুধু ছলাৎছল
কোথায় যাবি আজকে বল
দিনের কাছে একটা নুর


আকাশ যখন পদ্য লেখে
ছন্দ দিয়ে গন্ধ মেখে
যন্ত্র তখন কিবা শেখে
কোথায় তখন বাড়ায় হাত


একই ভাবে গন্ধ পোড়া
আঁকশি দিয়ে ছোটায় ঘোড়া
ছুটতে ছুটতে পড়ছে ধরা
দুহাত দিয়ে ধরছে চাঁদ


আয় না এখন এইভাবে যাই
স্বপন ভোরের রদ্দুরে তাই
স্বপ্ন আঁকি স্বপ্ন খাই
দুরের সাথে করতে ভাব