(আমাদের সিগারেট খাওয়া শুরু ক্লাস নাইন থেকে। স্টেডিয়াম, যেখানে এখন ডুমুরজলা ইনডোর স্টেডিয়াম, আর বালির মাঠ, যেখানে এখন কোনা এক্সপ্রেস ওয়ে, ছিলো আমাদের সিগারেট খাবার জায়গা। সেই সময় সিগারেট খাচ্ছি মানে একটা ভীষণ সামাজিক অপরাধ করছি বলে মনে হ'তো।  চারিদিকে কোন মানুষজন যাতে আমাদের দেখতে না পায় তাই খুঁজে খুঁজে এইসব জনমানবহীন এলাকা সন্ধান করতাম। সিগারেট খাওয়া শেষে চলতো তার গন্ধ মেটানোর আর এক প্রয়াস। পেয়ারা পাতা, লেবু পাতা  চুইনগাম ইত্যাদি মহৌষধির হদিশ আমরা আবিষ্কার করেছিলাম। প্রধানত খুচরো পয়সা যোগার করতাম। একদিন অন্তর এক টাকা কুড়ি পয়সা ছিলো টার্গেট। ষাট পয়সার ক্যাপস্টার্ন ছিলো ফেবারিট ব্র্যান্ড। একটু বেশী পয়সা পকেটে এলেই মোর ক্লাসিক মেন্থল ইত্যাদি ছিলো আমাদের রোজনামচা। এই সময় দুটো নতুন কথ শিখি। এক কাউন্টার আর দুই চাষা ওরফে সৌমিত্রর তৈরী কবিতা " গোল্ডেন পাপ্পি ইজ বেটার দ্যান থাউজেন্ডস কিসেস "। ক্রমশ প্রেম বাড়ে, সংখ্যাও,  আনুপাতিক উপার্জনের রাস্তাটা শুধু ছোট হয়। এই সময় আমাদের সক্কলকে পুলকিত করে বাজারে আসে ক্যাপস্টার্ন মিনি। কুড়ি পয়সা একটা সিগারেট, আর দু টাকায় গোটা একটা প্যাকেট। লাজবাব। আমার জ্ঞান পাপী আমি তখন লিখি,  তামাক বুড়ির গপ্পো।)


এক প্যাকেটের মধ্যে মোরা দশ দশজন থাকি,
গায়ে মুড়ি সাদা চাদর নিচের দিকটা খাঁকি


তার ভেতরে রয়েছি আমি নামটি তামাক বুড়ি
ধুম সেবনে করছি তোমার দেহের অসুখ চুরি


এই কিছুদিন দেখছি আমি, আমার পোশাকটা
সাদা হয়েছে উড়ে গেছে নিচের খাঁকিটা


ন্যাজকাটা তাই তোমরা বলো জাননা কিচ্ছু
সত্যি কারের ন্যাজ যে আমার ছিলোনা কভু পিছু


সামনে দিকে জ্বলছে অনল পেছন দিকে ঢাকনা
বন্ধুকে তুমি অফার করো "একবারটি চাখ্ না"!


চাখতে চাখতে নামছে অনল, ঠোঁটের কাছে গেলে
আপসে সেতো নিভেই গেলো টের পেলে বা না পেলে


কিন্তুু যদি শুধুই সাদা চাদর দেখো গায়
অনভ্যাসে চেখোনা ভাই বন্ধু যতই পড়ুক পায়ে


উপদেশ তো দিলাম অনেক ভালো কিম্বা খারাপ
তামাক বুড়ি এখন টাটা করিয়ে নিজের আলাপ