নমো নমো নমো, সুন্দর মম প্রধানমন্ত্রী তুমি......


দুই বিঘা জমি কবিতার লাইন টা একটু হেরফের করে এটাই এখন ভারতীয় অর্থনীতির ট্যাগ লাইন। সে অর্থনীতির হালে পটল কেজি প্রতি ষাট টাকায় পৌঁছে কিনতে গিয়ে তোলার উপক্রম। আর লাল টমেটো উচ্চবিত্ত সবজিতে উন্নিত হওয়ায় অনেক ভারতবাসীর পাত থেকে হঠাৎ ভ্যানিস! তবু তুমি হায়েস্ট ম্যানডেটী তোমায় ভরসা না করে উপায় কি গুরু! যাস্ট দুটো মাস কেটেছে তাতেই তুমি জানান দিলে ........গুরু তুমি কার! যাস্ট স্যাম্পল দিলাম!  


এক)


দুহাজার নয় থেকে এগারো সাল। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজকের ব্র্যান্ডনেমি নমো। আধার কার্ডের বিরোধিতা করে বললেন আমার রাজ্যে এসব আধার কার্ডের দরকার নেই। নন্দন নিলকানীর মতো করপোরেট ফিল্ডে সফলতার এভারেস্টে পৌঁছনো হোমড়া চোমড়ার ওপর ভরসা করে তৈরী ইউ পি এর ড্রিম প্রোজেক্টকে হেলায় প্রত্যাখ্যান করলেন তৎকালীন গুজরাটের মোদি সরকার। অথচ এই বাজেটে সেই করপোরেট ছোঁয়া লাগা আধার পেল একটা এক্সট্রা এডভানটেজ। দুহাজার উনচল্লিশ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ হলো ভারতবাসীকে করপোরেট করার তাগিদে। নন্দন নিলকানীর স্বপ্ন সফল হলো। তাহলে আগের বিরোধিতা শুধুমাত্র গদি দখলের জন্য? লোকদেখানো?


দুই)


মনমোহিনী সরকার ইউ পি এ টু। দুহাজার এগারোর ফেব্রুয়ারি মাস। প্রত্যাশা অনুযায়ী আবার তেলের জি টি এ আর ভ্যাট বাড়ানো হয় সমস্ত পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট এর ওপর। বিজেপি শাসিত সমস্ত রাজ্যগুলো প্রতবাদ করে। বনধ ধর্মঘট এ অনেক রাজ্য অচল হয়। অথচ, নমো বাহিনীর দুহাজার চোদ্দর বাজেট একই কাজ করেন। ভ্যাট বৃদ্ধি সমর্থন করেন। কত হাজার কোটি টাকার ধাক্কা যে সামলাতে হয় দেশবাসীকে তা বলাই বাহুল্য।


তিন)


বিরোধী বেঞ্চের বিজেপি এফ ডি আই বলতেই ম্যাড্রাসি ভঙ্গিতে ঘাড় নাড়তেন। দুহাজার তেরর আগস্ট মাসে কিন্তু ফেটে পরলেন। দেশবাসীর বীমা বিদেশিদের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না।  আর দুহাজার চোদ্দর বাজেটে বীমার ক্ষেত্রে এফ ডি আই বেড়ে হলো ছাব্বিশ থেকে উনপঞ্চাশ শতাংশ। মানে দেশবাসীর বীমা ক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্ট এর অর্ধেক বিদেশীদের হাতে। সুন্দর।


চার)


সুইস ব্যাঙ্কের গচ্ছিত টাকা দেশে ফিরবে। দেশের কয়েক লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা হবে, হসপিটাল হবে সেই টাকায়। নির্বাচনী প্রচারের এইসব চমকে ম্যানডেটের ছড়াছড়ি। নির্বাচনের পর -দাদা একটা ছোট্ট ভুল হয়ে গেছে, সুইস ব্যাঙ্কে কোনও ভারতীয়র ননট্যাক্সেবল টাকাই নেই, দেশে যারা ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দেয় আমরা তাদের ধরবো। ব্যাস ভোটের আগের চিতকার কেমন এক নিমেষে মিলিয়ে গেল!


এরকম আরো চার পাঁচটা জলজ্যান্ত উদাহরণ থাকলেও আমরা আশাবাদী। সেই এক পা কাটা যাওয়া ট্রেন ড্রাইভারের মতো আরও একটা পা কাটার অপেক্ষায় আছি যাতে একপাটি জুতোও পরতে না হয়!