এই যে তুমি, মিষ্টি মেয়ে
                         কাজল কালো কেশ
হাওয়ায় দোলে, হাটছো দেখি
                            লাগছে বড় বেশ।
আঁকা বাকা ,চলন তোমার
                               অর্ধচন্দ্র মুখ
যত দেখি, ততই লাগে
                             অন্তরেতে সুখ।
কচি শশার ডগার মতো
                        বাহু দু‘খান তোমার
যৌবনের রস নিতে
                         ঘুরছে মধুকর।
ডাগর ডাগর চোখের চাহন
                       মেহেদী রাঙ্গা হাত
রুপ লাবণ্যে ভরপুর
                        আলোকিত প্রভাত।
কন্ঠে তোমার কোকিল পাখি
                         গাহে বসন্তের গান
পানকৌড়ি উঁকিমারে
                      পুকুর জলে করলে স্নান।
ক্ষণে ক্ষণে শেওলা গুলো
                         জড়ায় তোমার অঙ্গেে
এইযে মেয়ে ,কোথায় যাচ্ছো?
                             নেওনা মোদের সঙ্গে।
স্নান শেষে যখন, উঠে বসো
                             শান বাঁধানো ঘাটে
মাছরাঙ্গা লুটিয়ে পড়ে
                      মিষ্টি হেসে ওঠে।
চালতাফুল ডাক দিয়ে কয়
                        ওগো মিষ্টি মেয়েে
একটু দাড়াও রুপ যে তোমার
                           দেখি একবার চেয়ে।
ছোট্ট পায়ে মিষ্টি মেয়ে
                            চলছো এবার ধেয়ে
পায়ের স্পর্শে দূর্বাঘাস
                            যৌবন গেল পেয়েে।
এমনি করে মিষ্টি মেয়ে
                           বাড়ি ফিরে যাও
আবার কবে আসবে, আসবে কবে
                          আমাদের বলে যাও।