এ ধরণীর মালিক যিনি, তিনিই বিধাতা
তার নিকট রক্ষিত অাছে, ভাগ্য লেখার খাতা।
তিনি যাহা চাইবেন ,তাহাই এ ধরণীতে হবে
ভাঙ্গতে পারবেনা কভু, মিলে যদি চাও সবে।
এই যে দেখ রাত-দিন ,তার হুকুমেই হয়
দিনে সূর্য ,রাতে চাঁদ ,তার হুকুমেই আলো দেয়।
এই যে দেখ গাছে গাছে, কত রকম ফল
তার হুকুমে ফল যদি খাও, হবে তোমার বল।
সবকিছু করে ফেলবো, গড়ে ফেলবো সব
সবকিছুতে ব্যর্থ হবে, যদি না চায় রব।
তোমার মতো বুদ্ধিমান, শক্তিশালী অনেকেতো ছিলো
সবই রেখে অবশেষে সবাই, ধরণী ছেড়ে চলে গেল।
যতটুকু নিঃশ্বাস চলবে,অতটুকুই তোমার জীবন
বিধাতার ডাক আসলে, ছাড়বে সাধের ভুবন।
বড় বড় দালান গড়ো, করো সুন্দর বাড়ী
ভোগ বিলাসে মগ্ন সবাই, বিধাতার সাথে আড়ি।
বিধাতার নাম কেন নেব ? আমরা সবই পাড়ি
বিপদ এসে কাঁধে পড়লে,বিধাতা এখন কি যে করি।
লজ্জা শরম নাই তোমাদের, ভন্ড মিথ্যার দল
তোমদের দোষে তোমাদের, হবে করুণ ফল।
শরীরেতে মোটা তাজা, ভিতরে সব ফাঁকা
চুলে কলপ মেরে সং সেজেছো, ভিতরে সব পাকা।
যতো ধরো সুখীর ভাব, ভিতরে সবাই দুঃখী
খাতায় লেখা ভাগ্য তোমাদের, মানলে হবে সুখী।
অবশেষে একটি কথা, সবাই বিধাতাকে মানো
তার কাছেই সকল সফলতা, এ কথাটা জানো।