তোমার চিঠি পেতে এবার অনেক দেরি হলো,
আমারটাও পৌঁছতে বেশ দেরি হয়েছিল তাই,
কী কারণে জানিনা, আজকালের মতো
হরতাল তো তখন ছিলোনা,
ছিলোনা আজকালের মতো প্রকাশ্য প্রেম,
বোধকরি রমনার সবুজ, টিএসসি'র দালান
আর ধানমন্ডি লেকের জল
এতো আলিঙ্গণ দেখেনি, প্রেমের এই
স্বর্গীয় স্বাদ পেতে ওদের এখন সাধ জাগে কীনা জানি না?
ওরা পাহারা দেয় কপোত-কপোতিরে
অষ্টপ্রহর।
তুমি হয়তো ভাবছো বারবার, আমিও কি রমনার এই সবুজের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি নাকি? বসে থাকার ঐ সিমেণ্টের
পাটাতনটা আমাকে খুব চেনে কীনা?
ফুল বেচতে আসা টোকাইরা আমাকে দেখে খুশি হয় কিনা?
না-না আমার মাঝে এসব লক্ষণ নেই।
চিঠিতে আমি লিখেছি আমি কিছু দিনের
মাঝেই বাড়ি ফিরবো সুচিস্মিতা,
আনন্দের আর সীমা নেই,
প্রতি সন্ধ্যায় তুমি ছল করে হাঁট আমার
বাড়ির সামনে, খুব ধীর গতিতে, তোমার ছোট,
গোল, নরম, মসৃন, তুলতুলে
মৃদু পায়ের হাটুনি যেন মাটির গালে কোমল স্পর্শ।
মাটির শরীরে জাগে শিহরণ, তোমার শৃঙ্গারে।
দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ চলে গেলে প্রতিদিনের মতো,
আমাকে ভালোবেসে সুচিস্মিতা;
আমি কবে ফিরব এই দূর নগর থেকে?
নিয়ে আসবো চন্দন তোমার জন্যে,
এই পঞ্চমিতে হলুদ-চন্দন মেখে আরও
সুন্দর হবে,এমনিতেই যদিও তুমি হলুদ ফর্সা
আমার ওষ্ঠাধর চুম্বন করবে কপলে;কপালে;
লোক চক্ষুর অন্তরালে,
জানোইতো আমরা গাঁয়ের,
এখানে রমনা আর লেকের অভাব,
কিন্তু স্বভাব ভালোবাসা আর ভাব
গোপনে হৃদকেন্দ্রে বৃত্ত গরে।


০৫/০১/১৬ ঢাকা