স্মৃতি বিস্মৃতির অতল তলে সাগর সমান মন্থনে রোমন্থনের
আঁধার ঘনিয়ে ঘনিয়ে আধার গড়ে আঁধারের ধার ধারে না হিসেবের।


কষে অঙ্ক জীবনের তুলেছি কাঁটা কাটতে ঘোর চলতি পথের
অমানিশা গভীর গহ্ববরে চলে হয় কৃষ্ণগহ্বর নিঃশেষে আলো,
কিছু কী দেয়ার আছে যে পথে বৃত্তাকারে পৃথিবী ঘুরে একই বিন্দুতে আসি।


শুধু পড়ে আছে পরের বেলার জন্য আমার স্তন যুগল, বিন্দু বিন্দু
সাদা রক্তের স্রোত আমার সন্তানের জন্য,
আর এই যোনি কোন এক আটাশে যুবকের।


নদীর চরে দাঁড়িয়ে থাকা গুপ্তচর বকের মতো যুবক হয়ে চাবুক
মেরে পিঠ বিদীর্ণ করা যায়, কিন্তু হৃদয়ের ক্ষতদ্বয় আর স্তনের প্রথম নুয়ে পড়া; অধস্তন কেরানির মতো লজ্জায় মনে পড়ে আজ বারবার ভুল করা কাজের কথা।


জলে জ্বলজ্বলে প্রেম এখনো বসন্তের মতো, শুধু পড়ে আছে আজও ফোটা ফোটা বীর্য; ফোটাবে একটা নতুন ফুল আনবে কুলের বাতি,
কোনো এক কৃষ্ণপক্ষ রাতে জ্বালাতে আর জোছনার আলো ছড়াতে শুধু ।


বাসনা ভালোবেসনা স্নানের আগে বা পরে, চিত্ত যেন চিরন্তন শুধু স্তন না দেখে প্রিয়।


প্রেম আর প্রেরণা  হৃদয়দ্বয় একাকার করে যে আকার গড়ে ওঠে
অস্তপারের পানে নিষ্প্রাণে তা পড়ে আছে দমকা ঝড়ে ঝরে পড়া বাড়ি ফিরতে না পারা কবুতরটার মতো।