চারচাকা গাড়ি ছুটে চলে, দোলে বাতাস, যাত্রী জানালায় উঁকি দেয় বমি-বমি ভাব,যদিও এ জন্মে শীতাতপে, প্লেনে ওদের কোনোদিন এমন হয় না।


মাঝে-মাঝে দুই এক জন ফটোগ্রাফার,
কখনো কখনো বিদেশীও আসে ক্যামেরা হাতে।


এ স্টুডিওতে ফটো ওঠে শুধু ছেঁড়া জামা গায় আর পরনে তালি-দেওয়া লুঙ্গি, মাথায় ঘামে ভেজা তৈলাক্ত গামছার পাগড়ি পরা মানুষের ছবি খাবার থালা হাঁটুতে।
দোভাষীর বোলে বিদেশী শোনে খাবারের বয়ান, দাম।
এরা কেন ফুটপাথ অথবা রাস্তায় খায়?
বাড়ি নেই?
বউ নেই?
সন্তান নেই?
নাকি নিজেরা রাঁধতে পারে না?
রেস্টুরেণ্ট আছে তো অনেক?


যথেষ্ট পরিমাণ শুকনো মরিচ তেলে ভাজা, এখানে দোকান জন্মের দিনের তেলের জন্ম হয় প্রতিদিন, ফুরায় না।
ডিম্বাকৃতি আলু ভর্তা আর স্বচ্ছ ডাল মরা-চাল, মরা-মাছি-মেশানো ভাত
পেটপুরে আবার রিকশার হ্যান্ডেল ধরে ছুটে চলে মানুষটা।
এবারও ফেরার সময় নিয়ে যেতে হবে রঙিন জামা ছেলেটার জন্যে, সাদাসিধে
বউটার কিছু নাইবা জুটল কিন্তু বৃদ্ধা মায়ের কবিরাজ ঔষধের টাকা পাবে তো।
বৃষ্টির জল, শীতের ঘাম গায়ে শুকালে  পকেটে আসবে প্রাণ।
আমাদের মরুচারী, দেখিনি যাযাবর,
শুধু দেখি প্রাকৃতিক রেস্তরাঁর
রেগুলার খরিদ্দার।


Rat 10 Ta 29/01/16, Dhaka