আমাকে ফেরত দাও
দেবদারু পিয়ালের
সামুদ্রিক তট্ আর একরাশ
নির্জনতা, আমি চিৎকার করে
বলে দিতে চাই _ একটাও দিন
অথবা রাত্রি নেই যেখানে
সেই নির্নিমেখ কথাটি বলা যেত
ঐকান্তিক সযত্নে !


নির্লিপ্তে লিখে যাই
নৈরাশ্যের অরাজগতা আর'
নির্ভরতার আত্তিকরণ
আর ভাঙতে ভাঙতে
বিশ্বাসের অবশিষ্টাংশ
মাইল ফলক ছুঁয়ে পৃথিবীর দ্রাঘিমাংশের
একাধিক চিরকূট যেখানে
দুরারোহের কাঠ খড়ে
প্রণয়ের অনির্লিপ্ত মূর্তি লেপন !


সেই আদিমগঞ্জ
বিস্তীর্ণ ছায়া এলিয়ে দিলেই
হেসে উঠত
নোলকরঙা ত্রিপদী
বিন্দু বিসর্গেরা, মধ্যের
ছক্ কেটে ছন্দের সে কি ধুম্ !
ফেরত দাও নি:শর্ত গোধূল
ত্রিবর্ণ স্তূপে মাথা গুঁজে
আবারো উছলে উঠার
বৈধুর্য্য অক্ষরেরা  I


চৌত্রিশ নং বেডের ছাতে
উর্ণনাভের একচ্ছত্রের জেহাদ
সাড়া মেলে নি সহস্র ডাকেও
মাথা ভেঙে গলগলে স্রোতের পট্টিটা
ধরে থাকা সেই আত্মজা
অক্ষর আলোর শেজটা রয়ে গেছে
পরম অ যত্নের পিলসুজ হয়ে !


চমকে উঠে দেখলাম
সেই বিকেল, সেই মজলিস
সেই অভ্যর্থনা ' বৈঠকীর
নামে বসানো হয়েছে
রসিকতা  
জারকরসের তেল ঝালে
বয়ামের অম্বল' বানিয়ে I


সেই ঐহিক বিকেলে
মগ্নতা ভেঙে দাও অবিশ্বাসী বাঁধ


স্থাপত্য ধুয়ে ফিরে আসি
পূর্ণ তীর্থে ' ঐখানে ঘর বাধি
চরাচর জ্যোৎস্না রোদ্দুর _
কাঁধে কাঁধ, আগামীর প্রত্ত্ন রচনা
এসে বলি নির্নিমেখ কথাটি _