বর্ষা ডাঙায় মেঘনা পারের মেয়ে
জলকেলিয়ে সাজিয়ে কথারমালা
ঝিনুক কুড়োয় অলস সময় বেয়ে
মেঘে মেঘে নকশী কাঁথা তোলা।
ছূঁচের গোড়ায় খেলছে কথাকলি
কত্থকে তার রং ধনুকের তান
বর্ষা মেয়ের হরেক রসোকলি
যায় ছড়িয়ে সপ্ত ডিঙার গান।
উদোম পায়ে নাচের সুরোতাল
ছলকে ওঠে সুরমা কাজল মেয়ে
আশমানী রং আনন্দে উত্তাল
বাদল রংয়া আকাশ পানে চেয়ে।
বৃষ্টি তারি নাগর অমন ধারায়
খেয়াল খুশীর চতুর্দোলা চড়ে
খুনসুটিয়ে কেবল বারি ঝড়ায়
রৌদ্র লাজে সুর্যিটা যায় মরে ।
পাগল প্রেমিক গর্জে ওঠে ঝড়
যখন তখন বিদ্যুতে ঝলকানি
মেঘনা পাড়ের দূর্নিবারে ঘটা
বজ্ররে দেয় আড়ালে হাতছানি।
দিকবিদিকে উথাল পাতাল মনে
আসকারা দেয় ছন্নছাড়া ঘটা
মাতন জাগে এলোকেশী বনে
বিবাগ প্রাণে জাগে তুফান চ্ছটা।
আগলে থাকা দোর বাটিতে
কাঁপন জাগে চাচার বুক
চালের খুঁটায় দুলছে জীবন
মারণ প্রেমিক খুব উৎসুক।
ঠেকনাতে ঝড় দিচ্ছে কাঁপন
উথলে ওঠে জলের রোষ
যোবনবতী মেয়ের অমন
প্রেমের সলাজ মুদ্রা দোষ।
আড়াল থেকে দিচ্ছে নজর
যমের দুয়ার ঋদ্ধ হোক
বর্ষা গেছে রিপোট দিতে
জোট বেঁধেছে গায়ের লোক
কি রেঁধেছেন কেমন চলন
কোথায় কখন কি ঘর দোর
ভাসবে কারা ঝুলবে কে বা
কার কপালে মৃত্যু যোগ।
রং যে কখন চেনার কারণ
আসল নকল কিসের লোক
আষাঢ় গায়ে প্রলেপ লাগে
রংয়ের ধকল সহ্য হোক।
ঘামের শেষে বৃষ্টি ধারায়
বেজায় খুশি মাঠের লোক
নুতন জমিন স্বপ্ন দেখায়
টোঙায় আসুক জলোৎসব
অলস মেজাজ খাপ খুলেছে
দু'চারকলি কাব্যে ভোট
ভিজিয়ে দিয়ে ছিটিয়ে দিয়ে
শহর জুড়ে যানের জোট
দিচ্ছে ছুড়ে কয়েক কলি রং
আনমনে আর পুরস্কারী ঢংয়ে
জমায় চাচী পাগলপারা গান
মাদল বাজে বৃষ্টিতে আনমনে
রং ধরেছে সোজনবাদের ঘাটে
জং ধরেছে সাবেক কালের পটে
উড়িয়ে বেড়ায় তক্তপোষের খুঁটি
বাঁধবে কে, মাণুষ নাই তল্লাটে
শুকিয়ে গেছে আনাগোনার ধূলি
কবচ যারে মেলায় পথের খোঁজ
শঙ্খ ফুঁড়ে ওঠবে নাড়ী জ্বলে
মিটবে এবার ভাঁড়ার ঘরের লাজ
বর্ষা দিলি কেমন বারো হাত
লাজ ঢাকেনা ভুখ মেটে না হায়
কেমনতরো বিচার কি উতপাৎ
জলের মাতন চলছে ক্রমান্বয়ে।
জল এলো রে সামাল সামাল
গেরস্থ বউ আগল দিক
ঘোমটা টানা সুখের আগল
এবার তোদের খোকা হোক।
এমনি ঘটে প্রলয় ঘনঘটায়
মেঘের পাশে বৃষ্টি কানাকানি
শ্রাবনী মেঘ জানান দিয়ে যায়
আকাশ মাটির চির জানাজানি।
তিন তিন ছন্দ // যারা পড়বেন