খেলছিল খুব, চার দেওয়ালে
বাগান, ছাঁতের অলস বেলায়
আপন খেলায় । মগ্ন যখন
সেই ছবিটায়, সামনে পেছন
রঙীণ কোহল। আলসেমিতে
চিমটি দিয়ে বলল কি রে
কোথায় আছিস, ভাসছি দেখি
অগাধ প্লাবন, শতেক ঢেউয়ে
জীবন যাপন, গায়ে, মাথায়
প্রবল ঝাপট জলের নামেই
মরণ বাঁচন ।  তীরের বেগে
,ঝড়ের বেগে জলের তলায়
অগাধ জীবন। সকাল গেল,
দুপুর এল,  রাত্রি আমায়
শান্তি দিল, বৃষ্টি তখন প্রবল
বিরুপ, ঘর ভাসানো, বন্য আদল ,
ফুঁসছে যেন মৃত্যু দেবে, বন্যা
দেবে, কাড়বে আগল, মারবে
পিষে জলস্রোতে। সবাই তখন
এক একটি জল, চক্ষে তো নয়
বক্ষে প্রবল,মা বোন এল বন্ধু স্বজন ,
জলেই দেখি মূর্তি বরণ,
দু একটা যা অন্যরকম চিনতে হল
সময় মতন, জলের বসত, জলজ
জীবন, বৃষ্টি দেখি প্রলয় দাপট
ভিজিয়ে জীবন দু চার জনম ,
কলম, খাতায় জলোচ্ছ্বাসে-
কাব্য ভাসায়, বন্যা আনে, বজ্র বানে
তুমুল বাঁধায়। চিমটি কাটে, লাগছে
না তো?