স্মৃতির উঠোন-


নাভিকুম্ভ থেকে
ছড়িয়ে রয়েছে পরমার্থের বীজ
সংস্থাপন কাল্
চেতনা, জীবনের ধী"
উত্তরীয়ে কোন বৈশিষ্ট্য নেই আর
নেই মহার্থের অবশিষ্টাংশ
রেণু খুইয়ে মালার আকন্ঠে
কেবলই ছত্রাক
মহাকুম্ভের অমৃত্ কুড়োবে কে?
মহাশূণ্য থেকে  
যতি ছুঁয়ে জমা হয়
অস্থির মনিষীরা


গর্ভগৃহে প্রত্যাবর্তন কাল্ l


পূণ্যগর্ভা-


কলুষিত আঁতসের ছায়া
কাছে টেনে নাও
হৃদপিন্ডের শোক I


ও ততটা মোহময়ী নয়
যতটা
ঝলসে ওঠা গুপ্ত আততায়ী
বেছানো ঝালরে
যার সযত্ন নখর
ধারালো নিকষ দাঁতে
কাব্য পাহাড় এসে ষড়যন্ত্র করে
তবু ওই ছায়া
টান টান আতসী রোদ্দুরে
এসে বসে মুখে l


বেতসী-


নিভৃত চোয়াল ধরে খুঁজে আনি দিন
সেসব বৃত্তান্তগুলো আলো হাওয়া ছিল
কে যেন শৈশব চেয়ে
এসেছিল বাজরার ক্ষেতে
সেদিন দখিনা ছিল
স্বর্ণশিবিরে একরাশ মেঘ
ছাতিমের তল্ আর তীর্থ প্রদক্ষিণ
চাদর বেছানো তলে
কারা আজ ঠুকেছে নোটিশ
আঙিণায়
গুড়ো গুড়ো মানুষের ছোপ !


মোহিনী-


একপাটি দাঁতে প্রেম ছিড়ে নিল
অন্যপাটি বিপন্ন অনুপ্রাস
নখরে বিদ্ধ হল দেশ দশ কাল্
পিষে দিল যাবতীয় লব্দ্ধ ইতিহাস
মুছে দিল এ যাবৎ পঞ্চাশ সকাল
বিকেলের পশ্চিমাকাশ l
পাঁজরে ত্রিশূল বিঁধে কেড়ে নিল
গোটা মহাকাশ l