দু'হাত ছড়িয়ে
মাথা নুইয়ে,ঘাড় ঘুড়ে
দাঁড়িয়ে অথবা শুইয়ে
একটা শ্লোক
লিখতেই পারি


আমি -


ডুবে যাওয়া অসহায়
মানুষগুলোর দিকে চেয়ে
নরম্যান ফাদারের মত
বেহালা তন্ত্রী তারে
তুলতেই পারি,মর্মন্তুদ বিষন্নতার সুর
কাধে লাঙলের ছোপ দেখে
কঁকিয়ে উঠলে আমাকে
বন্দী কোর না, কেড়ে নিও না
তন্ত্রীর আওয়াজ !
যুদ্ধ শেষে অমনই হয়
পরাভূত ধ্বসের দাপটে, ছিটকে বলে দেয়
অন্য কেউ - রাত্রি ঘনিয়ে আসে রাজার ঘুঁটিতে !
দিতে হয় তাই এগিয়ে আসি
আসতেই পারি,তন্ত্রীর যে কোন আঙুলে !
এলিয়ে জড়াতেই পারি
শব্দ,বর্ণের কারু উত্তাপ,
সিঁড়ি ভাঙা নিয়মের মত, এগোতেই পারি
জুড়তেই পারি
বুক চিরে ধমনীর উপশিরাগুলো -


গহন আঁধারে কেঁদে উঠি শৈশবের মত
আমি শবদেহে চলে যাই
অতল কিনারে, অথৈ রাশির পরে উদ্ভট ঘূর্ণির
তল থেকে তলে, আমি রাহু গ্রাস দেখি
মৃত্যু দেখি, খুন হওয়া লাশে রক্তগ্রুপ,আমি
হিম হয়ে আছি ধারালো অস্ত্রঘায়ে
মুখ বুঁজে খেয়ে যাই কামার্ত প্রসাদ আমি
খুন হয়ে যাব বলে চেপে ধরি
ধরিত্রীর গ্রাস, কেঁপে উঠি ঘুমঘোরে,
মিশে যাই একরত্তি শিশুর ভেতর !


আমার মানুষ কান্না বুক ছুঁয়ে দেখ
শবে শবে একাকার, একচ্ছত্র নৈরাজ্য মৃত্যুদূত