অমলাকান্ত চেয়েছিল
রোদ্দুর বেয়ে উঠে আসবে এক একটি
প্রাচীন ইমারত একটি স্বাধীন নগর
স্বপ্নসন্ধি, ঈর্ষনীয় ক্ষেত আর
ভর্তুকিহীন উন্মুক্ত শষ্যাগার I
প্রত্যন্ত নগরে জন্মাবে একগুচ্ছ বারুদ
ডায়নামাইট ছেলে মেয়ে,অজস্র
স্বপ্নসন্ধি নিয়ে এগিয়ে আসবে রাজদ্রোহের পথে I
একটু শ্বাস রাখা যাবে
ঘাড় ছুঁইয়ে বলা যাবে ' বাহ্ '


সেই রোদ্দুর ছুঁইয়ে চিনে নিতে হবে ভিয়েনা,কাজাকাস্তান
এখনো রোদ্দুর চায় গনগনে রোদ্দুর !
অমলাকান্ত চেয়েছিল এমনই এক রোদ্দুরে
গর্জে উঠবে স্বদেশ, আবারও, বারবার
নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে জ্বলবে লেলিহান


বরলাটের যে রৌদ্রে ছত্রখান মীর নিশার, চেঙ্গিস আর প্রাদেশিক তাপে ছত্রভঙ্গ গোটা বঙ্গের
স্বপ্ন সৌধ,তেমনই রৌদ্র ফের অমলাকান্ত হয়ে
জ্বলে উঠুক প্রান্তিক ঘর দোরে
শ্বাস নেব স্বস্তির মাটিতে, তুলসী সৌধে
জ্বলে উঠুক মঙ্গলারতির বিজয় শঙ্খ, প্রণাম জানাবো
মহান রৌদ্রকে _


এমনই এক রোদ্দুর যার প্রত্যাশিত ছায়া
কোথাও নেই, পুঞ্জিভূত ক্ষোভের সেই অনঙ্গ প্রত্যাশা
গুম হয়ে বীজের ভেতর, লাভার ভেতর -
আছে প্রত্যাশায় উদগ্রীব হয়ে I
একটা বিস্ফোরণ !


অমলাকান্ত বাসি লনের ডাস্টবিন থেকে, পাঁচালির কুটির থেকে,নর্মদা ঝুপড়ি,বস্তির খাল থেকে
তুলে আনছে বিনম্র রৌদ্র, রাখছে নি:শেষিত পাতে
আমরা রৌদ্র হয়ে যাচ্ছি জ্বরে, উত্তাপে
শষ্যে ঘরে দেহে আজ প্রখর তপ্ত রোদ -
আমরাও ধীরে অমলাকান্ত হয়ে উঠছি I