রাত নামে ক্রমে শহরের গায়ে
মখমলি পটে
তিন চার ময়ামের গ্লাস, পরিখা ডিঙিয়ে
খুলে গেছে রংধনু ঠোট কুচো নি:শ্বাস -
এই বলে থেমেছিল কাল্,বাকি তার
খাতাভরা ঐচ্ছিক ভুলগুলো নাড়ছে ইঙ্গিতে
জাহাজ কেবিনে সেই ত্রয়োদশী
আরশীর ছায়াভরা গোপন দুপুর, সঙ্গে নাবিক
তীব্র অর্থভার বলেছিল নানা কায়দায় !
গূঢ় সেই দীপ্ত ইশারা দেশ বেয়ে চলেছে জগতে
প্রতিসম ঢেউদের বাঁচন মরণ।


রাত্রিতে সেঁটে গেছে দায়
পৃথিবীর শতানিক দেহে ঘাম ঝড়ে
ঝড়,জল বৃষ্টি প্রলয় -
মাটি ঘরে সে আসন সাজা এ-ও বলেছিল
শতবর্ষে এ কাহনগুলো, সমান সমান !


তোর আমার আসা যাওয়া শুধু, ঘাড় ফিরে পরজন্ম ভাবে
আমিও স্পর্শ দিয়ে আসি !
ঘামেদের চক্রাকার সুদ ফোটেছিল ক্যাস্পিয়ান পটে
নীল আঁচল জরির ঝালরে
বুকভরা অগাধ জোছনা ! লকারেই ছিল
তস্য সুদ চক্রাকার হারে
বিতর্কিত ঘুম তবু ইজ্জত নিল নীল চোখ আইরিশ মেয়ে
খোপা খুলে এলিয়ে ধরেছে যুদ্ধক্ষেত্র বুক, হতাহত
কে কখন - লাশ বেয়ে উধাও প্রণেতা।


কবাট সরিয়ে সার্শি জানালা
ধোঁওয়া মোছা সাদা হয়ে আছে, আঁতসে তথাপি গঞ্জনা
বন্যার ঢেউ বেয়ে আসেনি সভ্যতা
বনেদি বয়ামে জারি ছিল
তের ডিগ্রী মৈথুনের ছাপ। নিশ্ছিদ্র রাত্রি তবু
পেতেছে প্রণয়,লিপ্সা ধরা যায় যদি - চৌষট্টি জরিবুটি
সিদ্ধ হয়ে যাবে, ছারপত্রে ব্যাপক কারোবার।


বিসমিল্লা বেজেছে বেসুরো
ছাড়খার রোদতপ্ত দেহ, জেনে বুঝে কার্তুজ সাজানো
ফুল বুঝে ছায়ারা সেজেছে
গোলাগুলি বুঝেছে সেনারা !