আসলে তেমন কিছু নয়,
যুদ্ধাস্ত্র মগজে ঢুকিয়ে
ব্যাভিচারে দারুণ কিছু ওলোটপালট
তৈরীর ধাঁচে সুস্থ সমাজটা
এলোমেলো করে দেবার অসুখ ;


বহু জ্ঞাণের অলৌকিক ফলে
এটাই আপাত আবিষ্কার
প্রমাণিত কীটের দংশনে যখন
আপেলকে ভ্রষ্ট বলা হল
আপনাদের চেহারা কেমন অচেনা লাগল
একত্রে গলা মেলালেন প্রমদোদ্যানে
মাফ করবেন তাকে আমি মৈত্রী বলতে পারিনি ।


শহরটা দেখল রাতারাতি কেমন গোপন শলা ভেদ করে
বেরিয়ে এল শতদ্রুর শৌর্য আর তাতে
ঋষি পরমার্থের হত্যার আদেশ !
আপনার হাইড্রোজেন বোমায় সলতে জ্বালতে
দেরী হল যাদের
ফাঁকা মাঠটায় মাথার রক্তের চাপ
এ কার হত্যালীলা জনাব ?


আমি মৃত্যুর আগে সন্তানকে চিরে দেখালাম পঞ্জর
গুনে গুনে ছ'জনের বিষের ফলক বেঁধা
ঢেকে আছে বহু জন্মের মন্মন্তর ,
বহু কন্ঠরুদ্ধ আঙুলে আমার বহুগামীতার স্বাক্ষর !
তার পাশে বিক্ষুব্ধ পরে আছে
আমার প্রত্যাশিত প্রবঞ্চনা ;লক্ষ্য করেন নি?


চোখ বুঁজল সন্তান , আমি তার মাথায়
পৈতৃক হাত রাখিনি বলে
নেমে এল অভিসম্পাত হারালাম চৌহদ্দির সীমা !


আজ আপনি চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন
যান্ত্রিক বোমার পরমাণু
ছিন্ন ভিন্ন হচ্ছে আমার সাধের ভূ খন্ডে
ওদের অস্তিত্ব যাপন এ কি আপনি
বোঝেন না ? না দেখেন না ?


আপনি উদ্ধারক হয়ে কি রেখেছেন
অবশিষ্ট ?
ওই ওরা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে
জুড়ে দিন পরমাস্ত্র ,
কতশত দেশ ,জাতি , শহর নগর শেষে
না হয় আরো কিছু প্রাণ , এই তো ?


অতশত ভাবার কি আছে
মৃত্যু অথবা ধংস , মাঝামাঝি যেন কিছু না হয় !