আমাকে একটি কবিতা লিখতে হবে
গূঢ় জ্যোৎস্নার অন্ধকারে কিভাবে নক্ষত্রপতন হয়
আমাকে অপেক্ষা করতে হবে
অন্তিম সেই দৃশ্যটি দেখবার জন্য
যখন রাত্রি ছেয়ে ফেলেছে সমস্ত অস্থিতে
জ্বলন্ত বলয় থেকে ছিটকে পরছে
একে একে কৃত্তিকা রেবতী উত্তরা সপ্তর্ষি
'শব্দকোষ ' অধ্যায় থেকে
বিদায় নিচ্ছে চিরন্তন বোধ__


অন্ধকারে ভেসে বেড়াচ্ছে আচ্ছাদন
উড়ছে ' যে ধরতে পারবে
আসলে আড়ালটা প্রকট হলেই কেল্লা ফতে
এছাড়া কোন উপাদান নেই
একটা মই 'সেতু 'নক্ষত্র এসব দিয়ে
বড়জোর একটু কাব্যি করা ছাড়া
বাহাদুরী নেই _


টুঁ শব্দটি নেই কোন
উল্কাপাতের মত কিছু স্ফুলিঙ্গ শুধু
ওপর থেকে নিচে মিলিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ
আমাকে লিখতে হবে
পতনোন্মুখ ওই জাগতিক ক্রমপঞ্জির
রহস্য 'অন্তর্ঘাত' নি:শেষে ঝড়ে পরা


আমাকে চোখ রাখতে হবে
প্রতিটি শব্দের কেন্দ্রবিন্দুতে
ছকের গভীরে যখন
উচ্ছল হয়ে ওঠে প্রতিবেদনের মুখ
ঈর্ষার আঁতাতে চিরতরে
ওদের ঘুমিয়ে পরা !


গতিবিধির প্রতি ক্ষেত্রে
উথ্থান পতন বেদন রোদন
কষ্ট দু:খের সবটায় ' দেখতে হবে
আমার অক্ষরগুলো কেমন
ঘাতকের মত খেলা করে ' আমি নেচে উঠব
হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠব লাফিয়ে উঠব
যখন প্রতিটি দৃশ্যে আমার
ল্যন্ডমাইন ভৃত্যের মত কাজ করতে থাকবে _


আমাকে এখনই লিখতে হবে সেই কবিতা!