তুমি স্বাধীনতা চেয়েছিলে অথচ
একটা আকাশ দেখানোর অক্ষমতা আমায়
কাঁদিয়ে যাওয়ার সমূহ অস্তিত্বকে
গুড়ো করে দিচ্ছে তাবৎ উদ্দীপনা ।
তোমায় বোঝাতে চেয়ে
টিঁকে থাকার মানে
ক্ষয় হয়ে গেল দু'ই তৃতীয়াংশ কীট.শেলী,বায়রণের উত্তরীয়
তাদের ললাট জুড়ে ভগ্নাংশের দামামায়
বিদ্ধস্ত আমার গোটাকত নিষিদ্ধ জীবন
তাদের আমি ঠেলে দিয়েছি
বিপজ্জনক দূরত্বে,যেখানে সমগোত্রীয়ের কিয়দংশ
আত্রেয়ী হয়ে মিশে থাকে
আমার নিষিক্ত সংগীতে ।
তুমি বলেছিলে শৌখিন পালঙ্ক থেকে মল্ পর্যন্ত
নাকবন্ধ থেকে বাহুবন্ধ অবধি
আমি প্রমাদ গনেছিলাম
প্রথম তোমায় চিনিয়েছিলাম মঁপাসা,হোমস্
অক্ষরে সেঁটে দিয়ে বিদ্যুৎ আমিই
জ্বালিয়েছিলাম প্রথম সভ্যতা
তোমায় হাত ধরে
প্রথম দেখিয়েছিলাম সূর্যাস্ত,সূর্যোদয়ের প্রত্যুষ
সেই দৃষ্টান্ত জুড়ে আজ
অক্ষমতা ভর করে আছে
আর কোন অধ্যয় নেই, কোন অনুসরণ
শেলীর আত্মশ্লাঘায় আজ
কিংবদন্তী ভর করে আছে
যেখানে কয়েকটি অক্ষরে বাঁচিয়ে রেখেছি তাকে
অথচ তিনি উঠে দাঁড়িয়ে তীব্র ব্যঙ্গে
ছুড়ে দিয়েছেন দোমড়ানো মোচড়ানো
প্রজাতীয় অভিব্যক্তির
এক আবর্জণা স্তূপ
অত:পর সেখান থেকে উঠে এসে তুমি
চেপে ধরে আমার টুঁটি


নি:শব্দে বললে "চুপ" ।