রাত্রি নেমে এসেছো


আমার পৃথিবীতো শয্যা বেছায় নি
গা ঘেঁষে মড়কের
একাদশী স্থিত হয়ে আছে
তাতে এসে পরেছে,অর্ধেক পৃথিবীর ছায়া
উদগ্র অন্ধকারকে বলেছি
নম্র হও
শান্ত হও
সমস্ত দিনের অন্তরাত্মা
প্রহেলিকা স্তম্ভে জাগতিক হতে চায়


রাত্রি আমি তোমার
থেমে যাওয়া দেখেছি
পৃথিবীর পরে
চষে বেড়ানোর পর
একরত্তি শিশুর মত
তুমি আষ্টেপৃষ্টে বাধা পরে যাও


আমি পূর্ণাঙ্গ আলোয়
দেখি মুখাবয়ব
পাপড়ি হয়ে ফুটেছে রোমের ইতিহাস
নিস্তব্ধতায় আমার
ঐতিহ্য সৃষ্টি হয় একটি জাগতিক উদ্দীপনা
প্রতিটি ঘন্টা প্রতিটি মূহুর্ত এসে
টেনে ছিড়ে উলঙ্গ করে
জন্মসূত্রের বাৎসায়ন


অন্ধকার ভেদ করি
দেখি অসংখ্য উল্কির
ভিন্ন প্রকাশ, থমথমে, স্তর থেকে স্তরে
মৃত শিশুদের গায়ে
শান্তি বোলাচ্ছে পৃথিবীর মা'


তার অদ্ভুত ধারায়
বয়ে চলেছে ভেসে চলেছে পৃথিবীর উত্তাপ
বন্যা শেষের নুতন পলির তাড়ণায়
আমি আঁজলা ভরে
পান করি তীর্থ শেষের নৈবেদ্য


একটু পরেই তুমি নেমে যাবে
ইট কাঠ ছেড়ে
পূর্ণ গর্ভের নাভিতে
সেখানে পঞ্জী
রচিত হবে
আগামী ত্রয়োদশ তিথীতে
দেখি শয্যা বেছানো যায় কিনা


ততক্ষণে
রাত্রির মাঝগঙ্গায়
পূর্ণতিথীর পূণ্যগর্ভ চাঁদে
নাহয় সৃষ্টির
আলোড়ণ চলুক.........