আমি তোর চীনের প্রাচীর
জংলার ঝিল্ ' অবশিষ্ট মাকড়ের
তির্যক নিষ্কাষণ
পরাক্রমী ক্রোধ আর নিষ্ক্রিয় সন্ধির
অবান্তর স্কেচ নিয়ে দাঁড়ালাম
সদ্য গণতন্ত্রের মুখে _


কে অথবা কারা টেনে দিয়ে গেছে
বিচ্ছিন্ন স্ক্রীনটাকে ' একরাশ যান্ত্রিক ত্রুটি
উঠল বিষাক্ত ধোঁয়ায় গনগনিয়ে
অগনিত সেনার সন্নির্বদ্ধ আঁওয়াজ
টেনে হিঁচড়ে চলেছে পৃথকীকরণ
আগ্নেয় যুগের সন্ধিক্ষণ অথবা
আদিমতন্ত্রের শৃঙ্খলায়ন _
পরাজিত শত্রুর মতো ন্যুব্জ ভীত
মুষ্টিকয় বাতিধরা মৌন স্তব্ধতার উদ্বোধনে
তবু বসা চলে কিছুক্ষণ _


কাকে যেন চেনা লাগে খুব
বিসর্জণের পরেও কাঠ খড় তুলে আনতে
মহড়ায় যোগ দিই
অথচ কি দূরত্ব দ্যাখ্ প্রাচীরটা অথৈ জলের মাঝে
বিদ্রূপ হয়েই রয়ে গেল
আমরা চেয়েছিলাম সেকুলারিজম' টা অন্তত
তোর আমার মুখ চেয়ে হোক্
বিষাক্ত ধোঁয়ার গানিতিক তন্ত্রে না হয়
গণতন্ত্রের রং তুলি মাখিয়ে
বদলে নেওয়া যাবে ' সমান পদ্ধতিতে _ '


তুমি কি নেমে আসতে পারো না প্রত্যন্ত
শ্রমিকের মতো ' জসীমউদ্দীন নয় নেই ' নেই
জীবনানন্দও 'একরাশ ঐশ্বর্য্যে
মুড়িয়ে ফেলবে গোটা সমাজটাকে
তাড়িয়ে তাড়িয়ে প্রেম নেমে আসবে সহসা !


নোটিশটি দুমড়ে মুচড়ে টাঙিয়ে দেওয়া হল
চির বচশার স্ক্রীণ বোর্ড _


সেই দুঃসাহসগুলো প্রয়োগ করতে পারেন '
পৌর নাবিকের বিধান
সারিবদ্ধ রাখা হল ক্রোধোন্মত্ত উন্মুক্ত পিস্তল
দৃশ্যে তখন '
একরাশ মণিপুরী ইস্তেহার !


ফসল তুলতে মরিয়া অবোধ চাষীর দল
টাঙানো স্ক্রীনে ঝুড়ি ঝুড়ি শষ্যে
উপছে পড়ছে গণতান্ত্রিক ডালা ' থরে থরে
সাজা হবে বাণিজ্যের ঝোলা !


কে কারে টেক্কা দেয় বল
আমি তো সেইই প্রাচীরের অবান্তর
স্কেচেই রয়ে গেলাম !