১৯৪৭ এরপর, আর একবার স্বাধীন হতে চেয়ে-
আমি তোমায় চিঠি লিখেছিলাম,তোমার বার্মিংহোমের প্রতিবেশীরা পুড়িয়ে দিয়েছে সেই মগজাস্ত্র,জানলে না তুমি-
আমি অশিতীপর এক বৃদ্ধ-একালের সংগ্রামী ভাতাভোগী
আমিও ছুটেছি সেকালে ক্ষুদিরাম,বাদল,বিনয়ের সাথে-
বোমা হাতে,ওরা প্যান্ট শার্টের ঝকমকি বোঝে নি তখনও,
কেবল সাদা একগুচ্ছ প্রাণ মায়ের মুক্তি কামনায়
আমিও ছিলাম-বড়লাট হত্যা মামলার আদেশে-
নির্ভীক আমরা শহীদ বেদীর কাছে-
খুব কাছে-দেখেছি হিংস্র পরাক্রমী,কূটচাল।
খুব বেশী ক্ষতি হয়নি কেবল সংসারটা গেছে মাত্র,
প্রাণাধিক স্ত্রী,কন্যাকে সমক্ষে ধর্ষণ,


এ--ই।


তারপর কতকাল,বঙ্গভঙ্গের কূটচাল,নকশাল আতঙ্ক--
পালাও পালাও হে স্বদেশ,স্বজাতি কে রাজাকার,প্রজা কে--
ছুটে ছুটে ক্লান্ত কখনো বেনামে কখনো স্বনামে-
শুধু লুকোচুরির পলায়ন--স্বাধীনতার ন্যাক্কার,
উদ্ধত দাঙ্গার স্খলণ,অস্ত্রের ঝনঝন্,মুন্ডহীন শব আর--
অজস্র লাশের মিছিলে অসহায় আমার স্বজন-
আজ আমার প্রাঙ্গনে দুর্বহ মৃত স্বাধীনতা
যার জরত্ব নিশ্বাস বুঝে ফেলেছে পশ্চিমী আদপ-
জেনে নিয়েছে ক্ষমতার আস্ফালণ,তাই-
ঘিরে ফেলেছে স্বাধীন ভিটেমাটি-
আসন্ন মরণে আমি চিঠি লিখছি তোমায়-
আবার ১৯৪৭ আসুক,রুপান্তর হয়ে,রক্ত জোয়ারে--
আর এক মুক্ত প্রভাতের অঙ্গীকার নিয়ে--  
এবারে স্বাধীনতা মানবতার,বিবেক-বোধগুলোর নবীকরণের-
আর নয় পলায়ন,নয় পশ্চাদপসরণ--
এবারের স্বাধীনতা হোক্ মানবতার উদ্বোধন-
হয়তো শহীদ বেদী রচা হবে নতুন করে আবারও-
তাই অন্তিম চিঠি আমার--
যদি পারো খুঁজে নিও, কোন ধ্বংসস্তূপ থেকে--


শহীদ হতে চাওয়া আমার স্বাধীনতার চিঠিটা--


* দশ সালে লেখা বহু পুরোনো কবিতাটি পোস্ট করলাম।