ওরা আমায় নাম ধরে ডাকতে চায় বাবুরা
বৈশাখী বিপর্যয়ে উড়ে যাওয়া চালের ফাঁক থেকে
একটি উত্তেজক বায়োস্কোপ
দেখতে চায়,ঝঞ্ঝার ভগ্নস্তূপ স্তনদাত্রীর নগ্নতার
কোলাজে কেমন মদির সম্ভোগের ঔদার্য সৃষ্টি হয়
দারিদ্র্যের দাঁত নখে বেড়িয়ে পড়া
লজ্জাস্থাণে ওদের বায়োলেন্সের ফোকাস.........


বাবুরা,
আমার মানচিত্রের
নগ্ন ভারতবর্ষে কিভাবে উঠছে জেগে
শত শত উচ্ছিষ্টের থাল্
তাতে অসংখ্য আমাদের অস্বীকৃতের নৈরাজ্য
বলছে " ভাত দেব না........"


সংসার আমায় মরে যাবার পরামর্শ দেয়
চৈত্রের শেষ ঝড়ে বাকি আচ্ছাদন গেছে উড়ে
নৈশ আঁচলে বাক্সবন্দী হয়নি অন্তিম দৃশ্যটা
শতচ্ছিন্ন শাড়ী থেকে বেড়িয়ে পরেছে হাঁটু
থাই থেকে কোমড়ের মেহেন্দি উল্কি
ওরা ছলকে উঠেছে, অভিযোগ ভুলে
আমি তখন মেহমান দেখছি
ধীরে ধীরে বিনোদন হয়ে চলেছি লাস্যে ভঙ্গিমায়
অথচ আসার কথা ছিল
যারা কথা দেয় দুর্যোগ ঝঞ্ঝার রোদ ঝড় জলে
একজন সত্যিকারের মানুষের.......


পৃথিবী পৃষ্টে তখন আমি আঁচড় কাটছি
শরীর প্রত্যঙ্গে অক্ষর আর অক্ষরে
স্বীকৃতি মেলেনি তখনও
দেহের পোস্টারে এঁকে রেখেছি
ইতিহাসের
উৎস সৃষ্টি স্থিতির রং রুপ গন্ধ


বাবুরা, ওরা আমার গালে লেপটে দিয়েছে
সম্মোহনের রুজ, চোখে মোহময়ী কাজল আর
কোঠার শৃঙ্গার


অথচ আমি একজন আদর্শবান শিক্ষয়িত্রী
মেধার আড়ালে প্রকৃত মনুষ্যত্বে
সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম জাতীয়তাবাদের ঐতিহ্য
বিশ্বাস করুন আজ আমার পায়ে
বাবুদের খেমটা নাচের ঘুঙুর.......


কিজানি এই  
সৌজন্য অনাবৃত গৃহের চাল ছাইতে
পারবে কি আমার ............?