আসন থেকে নামানো হল ঋষিকে
তিনি তখন সত্যদ্রষ্টা নাবিকের মত
আসন্ন বিপদ্সীমার
অস্থির কাঁটাটির দিকে তাকিয়ে,
চোখে,মুখে ফুটে উঠল
ভয়ার্ত উদ্বেগ,পায়চারি করতে থাকলেন
ইতস্তত
চতুর্দিকের জলস্তূপ ছাপিয়ে
একই কেন্দ্রবিন্দুতে মিলিত হচ্ছে
একই তর্জণ,গর্জন,
ধরণ,ধারণ।


তিনি অধ:স্তনকে আদেশ দিলেন
এক্ষুনি ঐ প্রত্যন্তের
চামড়া খসিয়ে জলস্তর পরীক্ষা করা হোক্
বিবিধ যন্ত্র নিয়ে হাজির
ঝাঁপওলা, তেলি,ধোপা,নাপিত,বাউন্ডুলে
বেকার ডোম,মুচি,মেথর


একজনও পন্ডিত এলেন না
এলেন না কোন কবি,সাহিত্যিক
নিদেনপক্ষে একজন প্রেমিকও


ঋষি তার কমন্ডলু খুলে বিস্মৃত জল ছিটিয়ে দিলেন
ভ্রমান্ধ পিপাসুর মত
পিলপিলিয়ে বাড়তে লাগল ওরা
বন,বাঁদার ছাপিয়ে এঁকে নিল
রাজতিলক
তারপর
মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে এগোতে থাকল
ঝোপ,ঝাড় ভেদ করে
সমোত্তীর্ণ জলদেশের দিকে।


জনা পাঁচেক কবি কাগজ,কলম হাতে
অদূরে কাঁপতে থাকলেন
জলের ভয়ে
বন্যার ভয়ে
পিছমোড়া করে বেঁধে আনা হলওদের,
দাঁড় করানো হল সমান সারিতে
কবিরা হাত,পা জড়িয়ে ধরল
তেলি,ধোপা,নম:দের।


আকাশ,বাতাস ছাপিয়ে সেই প্রাণভিক্ষা
প্রাণিত করল ডাকাতদেরও
গলায় নয়শো ভোল্টের দড়িতে তখন
নম:,রজ্জাকদের হুল্লোর,তান্ডব ।


বাকল ছাড়িয়ে রক্তে বসানো হল
গ্রূপ যন্ত্র


ঋষি আস্বস্ত হলেন ,না:
অমূলক আশংকা থেকে মুক্তি পাওয়া গেল,
একমাত্র কবিদের রক্তেই
জলের মাত্রা ক্রমাঙ্কের অনেকটাই নিচে


ফের আসনে ফিরে এলেন তিনি
ঘোষণা করলেন,


" নিশ্চিন্ত হও অনুচরবৃন্দ আপাতত
  কবিদের জলস্তর ভয়াঙ্কের অনেকটাই
  নিচে, তোমরা বিনোদনে লিপ্ত হও "