ত্রিভূজের খাঁজেখাঁজে মনে হয় যেনো এখনো-
লেগে আছে আপনার স্পর্শ, পবিত্র পরশ,
পায়ের চিহ্ন, গায়ের ছাপ, শতো সহস্র বরষ।
থুথুর আলোকচ্ছটা, ঘর্মফোঁটা, অশ্রুবাষ্প, নিঃশ্বাস।
থরেথরে গর্তের ভিতরে বিস্তৃত
                      ফুলেল অর্ঘ নিয়ে স্বর্গীয় সুবাস।
বাতাসে মিশে আছে-
আপনার সুরেলা কণ্ঠের হৃদয়গ্রাহী মনোরম সুর।
এতোটা উচ্চতায়, পাথরের দুর্গম গুহায়,
এখনো ভেসে আছে হয়তো-
আপনার শীতল নিঃশ্বাস,
হাঁসফাঁস, সুদীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস।
মনে হয় এখনো লেগে আছে-
স্বর্গদূতের পদধূলি,
প্রতিনিয়ত প্রতিধ্বনিত হয়-
সেই প্রথম ওহীর শব্দকলি।
এখনো যেনো নেমে আসে-
স্বর্গের দূত, অবতরণ বায়ুকম্প, বুলি।
এখনো যেনো স্বর্গীয় সূরে বেজে ওঠে-
"ইক্বরা বিসমি রব্বিকাল্লাজি খলাক্ব,
     খলাক্বাল ইংসানা মিন আলাক্ব"।


বাতিলের হাতিয়ার, তীর ধনুক তলোয়ারের বিপরীত,
এখনো যেনো গর্জে ওঠে হেরার প্রস্তর, গোলোক।
সর্বহারা পথহারার সুপথ, থেকেথেকে জ্বলে ওঠে-
আঁধারের ঘোর ভেঙে একখন্ড শুভ্র সোনালি আলোক।
এই জ্ঞানহীন নির্বোধেরও গভীর বোধ জাগে-
ধ্যানে মগ্ন হই গোটা আরো একটা এমন তুচ্ছ জীবন,
নতমন নতশির সশরীর ল্যাপ্টে পড়ে ভুলে যেতে চাই-
                                 জীবনের অনন্ত আয়োজন।
সাধনার আরাধনায় ধন্য হোক অতৃপ্ত হৃদয় খুব,
আঁখি বুঁজে নেমে আসুক স্বর্গের সুখ।
অশ্রুজলে তলিয়ে যাক এসব হতাশার বান,
                     হিংসের চাবুক, চাকু ছুরি, তীর ধনুক।
আধমরা আত্মা মাহাত্ম্যের সুখ খুঁজে ফিরে-
               একবার, আরেকবার, বারবার বেঁচে উঠুক।
বেজে উঠুক আরেকবার তাকবীরের রবে নীরব ঠোঁট,
           নিস্তেজ ধমনী, ঝরে যাক খোলসের আবরণ।
               ঢলে পড়ুক বুকের ব্যাসার্ধে কলুষের মরণ।