গাঁয়ের সান্ধ্য হাওয়া যখনি লাগলো গায়ে, মনে হলো অজানা কোনো-
শীতলতা চেয়ে গেছে সমস্ত অন্দর বাহির, স্বর্গীয় হিমেল হাওয়া যেনো।


মাঠে-ঘাটে ঘুরে-ফিরে ক্লান্ত দেহ টেনে যখনি নিই খেয়াঘাটেরই প্রান্তে-
ঠিক তখনি শতাব্দী পার হয়ে আসা স্মৃতিরা ঘায়েল করে নেয় নিতান্তে।


শতো কোটি জলকণা দুলে দুলে নৃত্য তুলে সফেদ ফেনায়, চমৎকার!
অনাবাদী জলধারায় সুখের চাষাবাদ, দুঃখ-দাহের মসৃণ ব্যাপ্ত সৎকার।


এখানে প্রেমের কাব্য ভুল করে পথ, প্রেমিক ভুলে যায় প্রেয়সীর মুখ,
তাবৎ বড়ত্বে এগিয়ে আসে শৈশব কৈশোরের উচ্ছ্বাস, উজ্জ্বল দু'চোখ।


প্রেমিকাও ভুলে ছেড়ে দেয় হাত, ছুঁয়ে জল কল-কল মাতে নিজস্বতায়,
প্রেমের গান গল্পরা লজ্জায় মাথা লুকিয়ে হাটে, স্বীকার করে পরাজয়।


বালিকা বধূর মেহেদি হাত বালিতে মলিন, কাদার প্রলেপে ধূসর-রূপ,
বাতাসে শব্দরা অঢেল আয়োজনে মনে তুলে এক মোহিনী সুর নিশ্চুপ।