যেদিকে তাকাই কেবলি পৃথিবী পুড়ে, সর্বত্র সমস্ত।
পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা গ্রহ তারা চাঁদ সূর্য।
পুড়ে যাওয়া ভস্মস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসে আকাশ,
আবার আকাশ পুড়ে পুড়ে মাটি মাড়িয়ে সাগরে মিশে,
এই পোড়া গন্ধ বাতাসে ওড়ে, মেঘের ঘনত্ব বাড়ে।
পূর্ণ চাঁদও পুড়ে যায়, গলে পড়ে পূর্ণ যৌবনা পূর্ণিমা।
সত্য বলো, কতটুকু আঁধার তুমি সইতে পারো!
কতটুকু পারো নীরবতার ঘাতক হতে? নিস্তব্ধতা?
আর কতটুকুন আছে সাহস নিঃসঙ্গ বেঁচে থাকার?
অথবা কতটুকুনই বা আছে সুযোগ একা মরে যাওয়ার!
মধ্যরাতে ঘরে ফেরা মাতালের দুঃখ আমি বুঝি,
আমি বুঝি নিকোটিনের ধোয়ায় গোটা রাত পুড়িয়ে-
দেয়ার অসহ্য যন্ত্রণা, হৃদয় পোড়া গন্ধ আমি বুঝি।
বেদনার ভাষা আমি বুঝি,
আমি বুঝি বলতে না পারার কষ্ট কী!
বুকের মধ্যে আমূল চালিয়ে দেয়া চাকু,
কখনো রক্ত ঝরে, কখনো ক্ষতচিহ্নে জমাট বাঁধে পুঁজ,
কখনো অর্ধগলিত লাশে পোকার মতো কুরে কুরে খায়।
আরো বহুবার চৈত্রাগ্নিতে পোড়ার প্রস্তুতি নিয়ে,
বজ্রপাতে দগ্ধ হওয়ার মতো মানসিকতা ধরে,
ধ্বংসস্তূপের ভেতর গুপ্ত আগুনের মতন করে-
জ্বলে ওঠো আবার, বারংবার, বহুবার, প্রতিবার।