তুমি তো জানোই,
কতো দীর্ঘতর ছিলো আমার অপেক্ষা!
কতো লম্বা ছিলো আমার অপেক্ষার ক্ষণগুলি!
কতো বেশি উচ্চ ছিলো আমার আকাঙ্ক্ষা!
কতো তপ্ত ব্যাপ্ত গুপ্ত সুপ্ত ছিলো আমার তৃষা!
কতো দৃঢ় ছিলো এই দুর্বল আমার পদক্ষেপ!
তুমিই কেবল জানো-
কতো গাঢ় গভীর নিখুঁত ছিলো আমার ভালোবাসা! আমার ভীষণ প্রেমের অখণ্ডতা!
কতো বিশাল ছিলো আমার স্বপ্নের চারণভূমি।
কতো বিস্তৃত ছিলো আমার কল্পনার স্বর্গরাজ্য।
কতো দীর্ঘ, সুদীর্ঘ সময় গড়িয়ে তুমি দিলে সুযোগ,
তুমি নিলে তোমার পবিত্র ভূমির সান্নিধ্যে।
তুমি ভরালে দৃষ্টির তৃষা কালো গিলাফের আবরণে।
তুমি নিলে টেনে তোমার প্রিয় হাবীবের চরণে।
ভীত সন্ত্রস্ত বুক কাঁপা কাঁপা, লাজুক মুখে উচ্চারিত সালাম,
পদ চালনায় প্রায় থেমে থেমে যাই।
কীসের সামনে, কার সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেলাম, ভুলে গেলাম অতীতের অনেক কিছু,
খুঁজে পেলাম নতুনের এক আশ্রয়, বুঁজে গেলো চোখ, ঝাপসা দৃষ্টি,
ঠোঁটের কোণায় কী যেনো সব নিচু স্বর,
অথবা অবাক হৃদয় ঠাঁই দাঁড়িয়ে দেখছে কী! খুঁজছে কী! বুঝছে কীসের পরিমাপ!
হয়তো, কল্পনার সাথে বাস্তবতার ফারাকের অংক কষার সূত্র খুঁজছে মগজ!
আজ দীর্ঘ বিচ্ছেদ!
কখন আবার নিকটবর্তী হবো তোমার ছায়ার!
কখন সান্নিধ্যে যাবো তোমার হাবীবের আবার!
এ'দূরত্ব তৃষ্ণা বাড়িয়েছে আরো কয়েক গুণ, বহুগুণ।
শুভ্র পাথরের বুকে রাজত্ব করা কালো গিলাফ মুড়ানো পবিত্রতা দর্শনে বড়ো ব্যাকুল হৃদয়,
স্পর্শ পেতে, ছোঁয়া পেতে ক্ষণিক উৎসুক মন, মরিয়া প্রাণ।
আমার রাস্তাকে সংক্ষিপ্ত করো,
সময়কে দ্রুতগামী করো প্রভু।
পুনঃরায় শীতল করো এ'হৃদয়,
ধন্য করো দু'চোখের পলক।
আমাকে নিকটবর্তী করো স্রেফ-
তোমার দয়া, ক্ষমা, পুরস্কারের।