এতো শতো লোক ভূলোকের আলোকবর্ষ দূর
থেকে সীমানার আসমান ডিঙিয়ে ছুটে আসা,
বিচিত্র আবরণ, গাত্র বরণ, আচার আচরণ, চলন বলন,
বিচিত্র সব কথার ধরণ, তবুও ঠিক একই হৃদয়ভাষা।
সাফার সফর শেষে মারওয়ার মেরু পেরুতেই
হৃদয়ের কন্দরে বেজে ওঠে আবেগের মৃদু সুর,
বেসুরো কণ্ঠে এ'গান গাইতে শুরু করলো জবান-
"আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মদ.....
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মদ......" বুকে দুরুদুর।
আমি যেনো পিতার কামরা থেকে মায়ের রান্নাঘর,
বাবার বসার ঘর থেকে মায়ের শুবার ঘর, কেবল হাঁটছি।
আমি যেনো পিতার আবাস থেকে মায়ের নিবাস,
একে একে সাতবার পদভ্রমণে আদি স্মৃতি খুঁজে ফিরছি।
আবেগ তাড়িত হৃদয়ে যেনো স্পর্শ পাই আদি পিতা,
জাতি' পিতার স্নেহ পরশ, ভালোবাসার মাদুলী।
কল্পনার আকাশজুড়ে উড়তে শুরু হয় মিটিমিটি
লাখোকোটি স্বর্গমানব এখানে বিচরণ, চরণধূলি।
ধুকধুক বুকে কম্পন, ভীতসন্ত্রস্ত আস্ত দেহ ঝিমঝিম
যেনো শ্রদ্ধার ভারে গুটিয়ে লুটিয়ে পড়ে অকাতরে।
আঁখি বুঁজে মুখ নিশ্চুপ ভাষায় কৃতজ্ঞতার বার্তা
পাঠায় হুটহাট লুটায়ে ললাট স্রষ্টার তরে।
আমার ঠিক জানা নেই জন্মদিনের দিনক্ষণ, সপ্তাহের কী বার!
লোকেমুখে মা'র কাছে শুনেশুনে বেবাক ভুলে গেছি  আবার।
তবুও মনে হয়, এখনে আমি আজন্মকাল ধরে
সময়ের পথ বেয়ে হাঁটছি মহাকালের কক্ষপথে।
আমার পিতা পিতামহ প্রপিতামহ, এভাবেই
আদি পিতা অব্দি হতে হাঁটছি নিরবধি সৃষ্টির শুরু হতে।