এসেছে পঁচিশে মার্চের ভয়াল কালো রাত
ঝাঁপিয়ে পরেছিল মনুষ্যত্বহীন হায়েনার জাত,
নিরাস্র ঘুমান্ত ছাত্র বুদ্ধিজীবীদের উপর
কেড়ে নিয়েছিল লাখো শহীদের প্রান।
লুন্ঠিত হয়েছে ইজ্জত মা বোনদের
ছন্ন ছাড়া হয়েছিল স্বজনদের,
হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের ন্যায়
লন্ড বন্ড করে তাণ্ডব চালায়।
বৃষ্টির ন্যায় বর্ষিত হয় গুলি
নাম না জানা কতো মানুষের উড়ে যায় মাথার খুলি।
রক্তের স্রোতে ভেসে যায় রাজ পথ
জাগ্রত হয়ে বাংলার মানুষ করেছিল শপথ।
ভেসে যাওয়া রক্ত মনকে করেছিল আরো শক্ত
পাক হানাদারকে জানাজা পড়ার উদ্দেশ্য,
বাংলার দামাল ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধে।
দীর্ঘ নয় মাস, জীবনের মায়া ভুলে সব
বিরামহীন, নিদ্রাহীন, ক্ষুধার জালা উপেক্ষা করে,
এপার থেকে ওপার তেপান্তরে,
কাঁধে কাঁধ মিলে জোট বেধে
আঘাত হানে গোলা বারুদপূর্ণ হায়েনার উপর।
চারিদিকে লাশের গন্ধ
একের পর এক লাশ ডিঙিয়ে,
মর্মাহত মনকে পাথরের ন্যায় শক্ত করে
সামনের দিকে হই অগ্রসর।
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে, একের পর এক সহযোদ্ধা হারিয়ে
নিজের মনকে লাশ বানিয়ে চললাম,
কাঁধে রাইফেল ও লাঠি সঠা নিয়ে
একটাই লক্ষ্য, এ দেশকে রক্ষা করতে হবে
বাঁচাতে হবে মা বোনদের ইজ্জত, বাঁচিয়ে
রাখতে হবে শহীদ ভাই বাবা ও
অবুঝ শিশুর রক্তের স্রোতের সম্মান।
পাক হায়েনার দল পেয়েছিল মনোবল
একমাত্র রাজাকার ও আল সামসদের সহযোগিতায়।
ওদের কারনে ঘরের যুবতী মা বোনদের,
নিয়ে যেত পাক ক্যাম্পে, একের পর এক
ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন পড়ে হত্যা,
এটা ছিল তাদের নিত্য দিনের উৎসব।
হায়েনা ও নরপিচাসের জাত পাখির ন্যায়
মানুষের বুকে গুলি চালাত।
আর রাজাকাররা ওদের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করতো।
অবশেষে বাংলার দামালদের কাছে পরাজিত হতে বাধ্য
হয়েছিল নরপিচাসের জাত।


তারিখঃ ১২/০৩/২০১৮