আজ কতকাল ধরে
তোমাকে চিঠি লিখছি
উত্তরের আাশায় আশায়, চৌকাঠে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে
আমিও চৌকাঠ হয়ে গেছি অপেক্ষার।


প্রতিদিন চলে যায়, বিষণ্ণ রানার
এখন ডাকলেও সে, তাকায় না ফিরে
মাঝে মাঝে আমি ভেঙেচুরে যাই
খসে খসে পড়ি, গলে গলে ঝরি।


আমি এখনও উড়ে উড়ে যাই
সেই নিসাড় স্রবণ কূলে,
যেখানে যাবার পথে আকুলিবিকুলি চোখে
বলে গিয়েছিলে— চিঠি দিও, দিও কিন্তু!
সেই থেকে আমি রোজ চিঠি লিখি
তোমার নামে, তোমার ঠিকানায়।


ফিরতি উত্তর, এলো না আজও
ডাকপিয়নের কড়া নাড়ার অপেক্ষা করতে করতে
জং ধরা কড়াখানি গেলো খসে
আসে না উত্তর, আসে নাতো চিঠি।
অথচ কী আকুতিভরা গলায়, বলেছিলে
চিঠি দিও, দিও কিন্তু!


আমি তো এখন রোজ চিঠি লিখে যাচ্ছি
উত্তরের অপেক্ষায়, আমিও পড়েছি ভেঙে
তুমি কি নেই আগের ঠিকানায়?


একদিন ভাবি দেখে আসবো তোমায়
সেদিন চিঠির খামে তাই নিজেকেই নিলাম ঢুকিয়ে
দিলাম ছেড়ে তোমার ঠিকানায়
তিনদিন ঘুরেফিরে, যখন পৌঁছে গেলাম— তোমার উঠোনে
ডাকপিয়নের হাত থেকে এক নাবালিকা এসে
চিঠিটা নিলো সে বুঝে।
কী হয় তোমার? মেয়ে? হবে মেয়েই হয়তো!
পরম যতনে হাতে নিয়ে চলে গেলো বাড়ির দখিনে
রেখে দিলো চিঠিখানি, হাজারো চিঠির সাথে
'মরহুমা মেঘনা' নামখচিত শানবাঁধানো এক কবরে।


আমি এখন তোমার সাথে রোজ কথা বলি।


❤️
৩০ অক্টোবর ২০২০, কুমিল্লা।