তোমরা কে কে যাবে আমার সাথে?
এমন প্রভার চাঁদনি রাতে!
শিশির ভেজা দূর্বাঘাসের আলপথে আজ নেমে,
ঘাসের ডগায় শিশির ছুঁতে আছি খানিক থেমে।


পথ পেরিয়ে সামনে গেলে নদীর কিনার ধরে,
বুনোফুলের বুনো ঘ্রাণে হৃদয়টা যায় ভরে।
ভীষণ কোমল নদী আমার হাসছে কলোকল,
উপচে পড়ে ঢেউয়ের তালে জলের ভেতর জল!


দেখবে নাকি?
আসো তবে! রাত এখনো বাকি!
হৈমন্তীর আকাশ জুড়ে বসছে তারার মেলা,
লালদীঘিটার ঢেউয়ের সাথে করছে যেন খেলা।
আকাশের ওই মেঘের সাথে চাঁদের লুকোচুরি,
মেঘগুলোর ওই ডানায় চড়ে চলো না হয় উড়ি।
কব কথা তারার সনে কব চাঁদের সনে,
ফুল পাখিরা হাসবে এমন মিষ্টি আলাপনে।
উড়ে যাবো বন পেরিয়ে লাল পাহাড়ের 'পর।
চাঁদের আলোয় হাসবে তখন শুকনো বালুচর।
জোনাক পোকা বলবে ডেকে শোনাও নিশি'র গান,
হেসে বলবো ওই যে শোনো! নদীর কলতান।
নদী তখন বলবে ডেকে আসো আমার জলে,
আর কতটা নাইবে তুমি ইন্দু বিভার তলে!
ঠিক তখনই নামবো এসে কাশবাগানটা ঘেঁষে,
জ্যোৎস্নার ঢল কাশের উপর যাচ্ছে যেন ভেসে।


রাত তখনো বাকি,
চলো তবে সারা গায়ে নিশি'র সুবাস মাখি।
সুবাস লয়ে আসবে তখন নিশি'র সকল মিতে,
দেবকাঞ্চন হিমঝুরিরা মিষ্টি সুবাস দিতে।
শিউলি আর মল্লিকারাও কবরে সুবাসিত,
ভোরের হাওয়া জানিয়ে দিবে আসছে যুবা শীতও।
সুবাস মেখে পুবাল হাওয়ার সুবাস মেখে ভোরের,
হৈমন্তীর নিশি খুলবে কপাট প্রভাত দোরের।


২৪ অক্টোবর ২০২২
৮ কার্তিক, ১৪২৯।