ক্ষয়ে ক্ষয়ে ক্ষত ক্ষত হলো ঝরঝর্,
      জীবনের প্রতি নেই এতোটুকু মায়া;
ঠুনকো আশাও নেই যেন কারো তর্
      চারদিকে তমসার বিষাদের ছায়া।।


রক্ত ঊষা ধীরে ধীরে তপ্ত থেকে তপ্ত,
      কোনো তাড়া নেই শুয়ে থাকা রাতদিন;
কেন এ বৈরাগ্যতা আপন অভিশপ্ত?
      হয়ে যাওয়া এভাবে জ্বলে পুড়ে লীন।।


দিবা-নিশি বালাই কি! যায় কাল যাক,
      আপনার খোঁজটাও রাখি না আপনি;
জীবনের প্রতি পথে বেঁকে গেছে বাঁক,
      আপন গন্তব্য কোথা নিজে নাতো জানি।।


কখনো করুণ সুরে ভেসে থাকা দূরে,
      কিছু খুঁজে খুঁজে কত দূর হেঁটে আসা;
ফিরে ফিরে আসা আর ফের যাই ফিরে,
      মনের তপ্ততা কিসে? কিসে এতো তৃষা?


দুর্দিন! দুর্দিন!! হায় এ কোন্ দুর্দিন?
      চাদর মুড়িয়ে টান টান শুয়ে থাকা;
মৃত মানুষের মতো এতটা স্বাধীন!
      পাথর এ চোখে কী এমন যায় দেখা?


আপনার চিন্তা কী? সবই তো হারালো,
      অসীম নিঃসঙ্গতা, ভাবনা শুধু একা;
জ্বেলেছো আগুন তুমি, জ্বালো আরো জ্বালো,
      জ্বলুক বিরহী মন, কপোলের লেখা।।


তারিখ: ২৫ আগষ্ট ১৯৯৯