পথিক!
অনন্ত আঁধারে ঘিরে আছে দশ দিক।
জ্ঞান হারা পথিকের মতো চলেছি দিগ্বিদিক,
ঝড় উঠে ক্ষণে ক্ষণে, কী যে নেই জানি না তো ঠিক।


জীবনের চেয়ে জীবনের বোঝা আজ গেলো বেড়ে,
ভুলে যাওয়া স্মৃতি আঘাত হানতে বারে বারে আসে তেড়ে।
মানুষ হইনু, অমানুষ হয়ে ঘুরছি আজোবধি,
পথিকের বাণী ভেসে আসে আজ ক্ষণে ক্ষণে নিরবধি।


পথিক, নতজানু আজ তোমারই চোখের কাছে,
নিজেকে নিজে আড়ালিয়া রাখি আলো-আঁধারির পাছে।
কী যে আছে- কী যে নেই, কী যে আরো থাকবে না,
কী হবে জেনে? থাকবে না যদি সেসব জানতে চাই না।


কে যেন দুয়ারে দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে হাহাকার আজই হাঁকে,
দ্বারে দ্বারে যাই, ঘুরেও বেড়াই না তো কেহ আর ডাকে।
'অমানুষ' বলে মাঝে মাঝে নিজে- নিজেকে দেই গালি,
শুকিয়েছে যে ক্ষত পুনঃ পুনঃ সেথা আগুন দেই যে জ্বালি।


আজ কতদিন পথিক বিনা পথ- মরছে ঘুরে ঘুরে,
কোথায় ঠিকানা জানা হলো না, মরছে সে পথ খুঁড়ে।
উপর পানে চেয়ে দেখি- নেমেছে গগনে নিঠুর সাঁঝ,
নিঠুর পবনে- করুণ বেদনে কী গীত বাজিছে আজ!


জানি নাকো, জানি নাকো জীবনের প্রতি এ বিরাগী কেন,
আশাতুর মন লোভাতুর হয়ে নেশাতে ঢুলু হেন।


ভুলে গেছি সব, ভুলে গিয়ে স্মৃতি দেখেছি অন্য কিছু,
ভুলতে ভুলতে- পথ ভুলে গিয়ে নিয়েছি ভুলের পিছু।
আঁধার শুধু চারদিকে আজ, নাই তো আলোর রেখা,
পথিক তোমায় খুঁজে ফিরি আজ পাইতে পথের দেখা।