এই তো সেই মধুময় ঠোঁটদ্বয়;
যা হতে ঝরে পড়তো সুরের মুর্ছনা
জীবনটা ফুরিয়ে যাচ্ছে এবড়ো-থেবড়ো ভাবে,
আমি শুনি তার আপনার শেষ কান্না।


সরু ঠোঁটদ্বয়, তার একান্ত নিজস্ব মৃদুহাসি, আমি দেখি-
যেমনি বহুবার দেখেছি আমার বাল্যকালে।


দুঃস্বপ্নের কিছু শব্দ, শুধু মিথ্যা, কেন? তা কেউ জানে না।
তবে ফুরায়নি আমার শিশুত্ব। আমি শিশু, চির শিশু-
                                              তার কাছে।
দেখি দু'টি সুপ্রসন্ন প্রিয় চোখ,
শৈল্পিকতায় কাছে টানে আমায়; মৃত্যুহীনভাবে।
শিল্পীর বহু সময়ে গড়া প্রিয় মুখখানি,
যেন আমি শিশু!
উজ্জ্বল আলোয় ডাকছে সেই মধুর সুরে।
আমার বিশ্বাস-
একমাত্র স্মরণযোগ্য এই তো আমার প্রিয় জননী!
আহ্... জননী তোমায় স্বাগতম।
আমি কত অপূ্র্ণ এখানে- তুমি হীনে।
তবুও জীবন প্রান্তের শেষে তোমার উজ্জ্বল মুখ,
                                  পূর্ণ আমার স্বপ্ন সাধ।
কী করে শ্রদ্ধা জানাই তোমায়?
শুধু কিছু শৈল্পীক করুণ সংগীত-
                            সেই তো ভরসা।
যা খুব যত্ন করে গড়েছি; জননীহারা শিশুর জন্যে।


আমি একান্ত অনুগত থাকব, আমার একাকীত্বের কাছে নয়-
কিন্তু আনন্দের মাঝে। আমি আসতে চাই তোমার একান্ত কাছে...
এবং আমাকে শোনাবে কতো কল্পকথা। যেখানে তুমি ছিলে।
আমি থাকতে চাই সুন্দর নিস্পাপতায়;
আমি নিদ্রিত হবো- নিদ্রা হতে নিদ্রায়।


কোন দুঃস্বপ্নের বাস্তবতায়- যা তার একান্ত শৈল্পীক সৃষ্টি,
জননী গো আমার! যখনি আমি জেনেছি- আমি আপন মৃত,
বলো কীভাবে রই আমি- হয়ে এই আপন অশ্রুস্নাত?
কীভাবে জ্বলছে আপন মাঝে তোমারই নিজ পুত্র!
জীবনের ভ্রমন ঠিক এই কি হয়?
এক্ষুণি বলে দাও মাগো মোরে,
এক্ষুণি মাগো নাও না কোলে তুলে-
অশ্রুসিক্ত দু'গালে পড়ুক তোমার স্নেহসিক্ত চুম্বন।
এতো অশ্রুতে যদি পার এই কান্নার দয়ায়-
         নয়তো তোমার ছোট্ট শিশুর মায়ায়!


কত তৃষ্ণার্ত আমি; জীবন সমুদ্রে শুকিয়ে হয়েছি পাথর
যদি মাগো তোমার বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করো-
জড়াও তোমার বুকে-
এই পাথরও ক্ষয়ে যাবে; গলে যাবে বরফের মতো,
            শুকিয়ে যাবে আছে যত জীবনের ক্ষত।


মাগো, আমি তো কত নির্ঘুম রাত্রির প্রহর গুনেছি-
                      তুমি খোকা বলে ডাকবে বলে।
তুমি এলে। এক্ষুণি কেনো আবার যাচ্ছ চলে...
জননী গো... জননী গো... স্বপ্ন আমার টুটে গেলো
                     থরথর... কাঁপছে কেমন অন্তর,
             জেগে দেখি আমি সেই নিঃসঙ্গ পাথর।