কোন এক নদীর পাড়ে,
সবুজ কোন গাছের আড়ে,
জলের মাঝে ঢেউ খেলে,
এমন হাসি দিয়ে গেলে,
যেন তাতে মুক্তা ঝরে,
ছোট নায়ের গায়ে পড়ে,
হলদে শাড়ী গায়ে তোমার
কালচে তাহার পাড়,
গায়ের সাথে লেগে আছে
করেছে তোমার আড়,
ভেজাচুলে কাকের বরণ,
সাদা কোমল দুটি চরণ,
পিঠ ঢেকেছো শাড়ির আচল,
মুখ ঢাকিবে কীসে?
শাড়ির আচল ভেজা ছিল,
পিঠের ছায়া ভাসে,
মায়াভরা হাতের পরশ,
মধু মাখা সুর,
নাকের ডগায় পানির ফোটা,
রুপে যেন হুর,
শরীর ধোয়া পানি তোমার
পড়ে থাকে ঘাসে,
পথে ফেলা পায়ের ছাপে
ফুলের গন্ধ আসে,
রংধনু ওই গায়ের উপর,
আকাশ তোমার গা,
তিলগুলো তে তারা জ্বলে
আমার ভূবন ছা,
আচল দিয়ে যখন তুমি
মুখটি মুছতে যাও,
মাথাটা হেলিয়ে যখন
পেছনে তাকাও,
এই চোখেতে পড়ে নাকি
তোমার এক চোখ?
পিঠের আচল সরেছে তাই
পড়ে না পলক,
ঐ পিঠেতে রুপ খুজে পাই,
ঐ বুকেতে সুখ,
সুখে দুঃখে তোমার থাকে
হাসি ভরা মুখ,
তোমার আচল ছুয়ে যায়
কত বন-বনানী,
বনের মাঝে লুকায় লুকায়
সব দেখেছি আমি,
বড়ই কাটা ধরেছে কি
তোমার আচল টেনে,
কাটা সেইদিন ধরেছে
আমায় অন্তর্ধানে,
সারাটা দিন সূর্য শুধু
তোমারে দেয় আলো,
তোমায় পাশে চন্দ্রটাকে
দেখতে লাগে কালো,
পারাবতের মধুর সুর
তোমার মুখে বাজে,
আমায় দেখে তোমার মুখে
হাসি ফুটে কি লাজে!
দারুন তোমার ঐ হাসি,
তাইতো চাই গো ভালবাসি,
সেদিন ই দেখেছি রুপসী,
তুমি যেন মোর প্রেয়সী।