অকৃতজ্ঞ


মণীষ


নিরানব্বই শতাংশের বিশ্বাস
অসত্যকে সত্যে বদলায় না।
তবে,
ওই নিরানব্বই জনের জিঘাংসা
কেড়ে নেয় ব্রুনো,সক্রেটিস আর গ্যালিলিওর প্রাণ।


যারা সেদিন বলেছিল
ধর্মের দোহাই দিয়ে
সূর্য ঘোরে পৃথিবীর চারিধারে
আজ তাদের সন্ততিরাও
তাদের ভাঁওতাবাজ মানে।


আমরা তো মূর্খ সাধারণ মানুষ
অল্পেই হার মানি।
যে মানুষটির সর্বাঙ্গ বিকল হয়েছিল
সেই শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীরও ঘোষণা,
"মহাজাগতিক সংসারে
ঈশ্বর নামক কোন অস্তিত্ব নেই। "


মানুষের চেয়ে বড়ো অকৃতজ্ঞ
প্রাণী মনে হয় কেউ নেই।
'বিজ্ঞান' ছাড়া এক মুহূর্তের জন্য
বাঁচার সাহস নেই অথচ
প্রতি মুহূর্তে তার অবদান ভুলে
অলীক, কাল্পনিক অসার অস্তিত্বের
কাছেই করে আত্মসমর্পণ।


আজ পর্যন্ত কোন ঈশ্বরের পূজারীকে
পেলাম না, যিনি অসুস্থ হলেও
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি।
"স্রেফ ঈশ্বরের আরাধনায়
মানুষের  রোগমুক্তি ঘটে না"
এটি তারাও ভালোমতই জানেন।
সন্ন্যাসিনী টেরিজা বা হুজুরেরাও ব্যতিক্রমী নন।


কঠোর নিরামিষভোজী  স্বয়ং গদাধর চাটুজ্জ্যেও তাই
মড়ার আগে ডাক্তারের কথায় মুরগীর জুস খেয়েছিলেন।


আমার অন্তরের বিশ্বাস
পৃথিবীর বুক থেকেই একদিন অন্ধবিশ্বাস,
অলৌকিকতা ধুয়ে মুছে সাফ হবে
শুধু তার জন্য শতাব্দীব্যাপী প্রকৃত শিক্ষাব্যবস্থার দরকার।