আমি সময় বলছি,
কেউ তো এগিয়ে এসো
হাতটা ধরো
আমার যে এখনও
অনেক অনেক পথ চলা বাকী।


শক্তি,সুনীল, উৎপল,বিনয়
সব চলে গেল একে একে
স্তব্ধ হল বিকেলের শেষ শঙ্খ ধ্বনি।


খবরের কাগজে লিখেছে
পতন হল বটবৃক্ষের।
যে লিখেছেন তাকে আর
কীই বা বলি !
মনে হল নিজেই
ছিঁড়ে খাই নিজের মাথাটাকে।


ওরে অর্বাচীন
তুই কী জানিস না
কবিতার মৃত্যু নেই
কবিও অবিনশ্বর, বিধাতা,সৃষ্টিকর্তা।


জানি আজকে পঞ্চভূতে
বিলীন হল যে শরীর
শতবর্ষ পরে কেই বা আর
মনে রাখে নশ্বর দেহটিকে।


কলম ছিল তার অমৃতে পূর্ণ
'মৃত' শব্দ যেখানে অর্থহীন।


স্বৈরাচারীর বুকের উপর
কলমের তীব্র প্রহার
যে হানে অনায়াসে,
কলমের  একটা টানে
যে ছিঁড়ে ফেলে
ক্ষমতাসীনের নির্লজ্জ মুখোশ -
কালের যাত্রার পথে
ইতিহাস স্বয়ং টানে তার দিব্যরথ।


সারা পৃথিবী আজ কুরুক্ষেত্র।
তোমার ছেড়ে যাওয়া পাঞ্চজন্য
জানিনা আবার কবে
অন্যায়ের প্রতিবাদে
ধ্বনিত হবে প্রচণ্ড নির্ঘোষে
কোন শালপ্রাংশু যুগনায়কের হাতে ?


প্রত্যাশায় থেমে থাকি নাহয় আরও কিছুকাল।



**** শ্রদ্ধেয় কবি শঙ্খ ঘোষের মৃত্যুর দিনে রচিত।