তুমি তো জানোই আমি একটু অগোছালো
পারি না কথা দিয়েও রাখতে সেই কথা,
আর না পারি ঘড়ির কাটার সখ্যতা মেনে
সঠিক সময়ে দেখা করতে তোমার সাথে...
সেদিন বিকেলেও হয়নি এর ব্যতিক্রম কিছু।
ক্লান্ত রৌদ্র তখন শান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল
বিকেলের নরম বিছানায়,প্রকৃতি ছিল মনোরম।
ফুলে-ফুলে,পাখিতে-পাখিতে,তরুতে তরুতে
যেন ব্যস্ত তারা প্রেমালাপে,আকাশে বাতাসে
ভেসে বেড়াচ্ছিল প্রেমের সুমিষ্ট সুগন্ধ...
আর "ভ্যালেন্টাইনসস ডে"র ভালোবাসা মাখা বার্তা।


তারই মাঝে আমার রূপসী যেন প্রেমের দেবী হয়ে
পরিবেশকে আরোও প্রেমময় ও স্নিগ্ধ করে
অপেক্ষায় ছিল তার সুজনের জন্য,আমার জন্য।
পৌছালাম তবে সময়ের বেশ কিছুটা উলঙ্ঘন করে।
অভিমান জড়ানো রাগ স্পষ্ট ছিল তার মুখে,
তা যেন অলংকার হয়ে রূপসীকে করেছিল
আরোও অধিক রূপবতী কোন এক পরী...
উঠে বসলে আমার বাইকে কথা কিছু না বলেই।
তারপর হল শুরু তোমার প্রশ্নবাণ,অভিযোগের বর্ষণ।
অনেক বুঝিয়ে আসল হাসির আলোকছটা তোমার ঐ মুখে।


"লং রাইডে" দুজনে চলে গেলাম দূরে অনেক দূরে;
তরুলতা হয়ে তুমি জড়িয়ে ধরেছিলে আমায়,
কোলাহলের দূষণমুক্ত স্থানে থামলাম দু'জনে,
হাতে রেখে হাত একটু হাঁটা হল কিছু কথা...
রাস্তারই এক পাশে দাঁড়িয়ে দুইজনে,
নতজানু হয়ে বসে যতনে হাতটি তোমার ধরে
ভালোবাসার সুরায় সিক্ত গোলাপ দিলাম তুলে হাতে...
হয়েছিলে খুশি অনেক অনেক বেশি নিয়েছিলে জড়িয়ে,
আজীবন পাশে থাকার দিলাম দু'জনেই কথা...


এদিকে হিংসুটে সময় সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতে
অগ্রসরে ব্যস্ততায় চারিদিক নিল ঢেকে,
আসতে হল ফিরে দু'জনকে কোলাহলের শহরে,
বাইকে বসে দু'জনাতেই চলছিল দুষ্টুমি কত খুনসুটি।
হ্যা রূপসী এমনটাই হতে পারত আমাদের
"প্রেম দিবসের" উদযাপন প্রেমময় এই সন্ধ্যায়,
যদি হতে তুমি আমার আমারই আজীবনের সঙ্গী।
কিন্তু না,কল্পরাজ্যের কারাগারেই রইল পড়ে
সব,এসবই আবদ্ধ;পারে নি হতে তারা মুক্ত
কারণ তুমি নেই,নেই তুমি আমার এই জীবনে।


________________________________________
রচনাকালঃ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
সকাল ৭টা ১২