হঠাৎ করেই ঠিক হয়ে গেল -
তোমার বিয়েটা - আমার চিতা।
স্বপ্নও ভাবায় নি এমন হবে,
পাষাণ বাস্তবের কঠিন শাস্তি
পড়ালো গলায় পাপের বেড়ি।
রঙিন দিনগুলো এখন যেন
রৌদ্রে পড়ে থাকা শুকনো কৃষ্ণচূড়া।


অশ্রুর ঝরনা শুকিয়ে খরা,
এই রাত্রেই তুমি আমি আলাদা,
কপালের সিঁদুরে অন্যের ছবি...
ভাবলেই কেঁপে ওঠে অন্তর,
সরে যায় পায়ের তলার মাটি।
অন্য কেউ নিয়ে যাচ্ছে আমার তোমাকে,
মন্দির থেকে আমার দেবীকে...
এটাও দেখতে হচ্ছে পাথর চোখে।


তোমার স্মৃতির আগুন আমি
নেভাই কি করে বলতে পারো!
পুড়িয়ে মারছে প্রতি সেকেন্ডে...
তোমার ছোট ছোট বায়নাগুলি
যা পাগল করে রাখত আমায়,
ভীড় করে তারা এসে মনের পর্দায়।
এখন কার বায়না মেটাবো বলো!
কার জন্য কাজ থেকে ফেরার পথে
পপকর্ন প্যাকেট নিয়ে যাব কিনে!
কার জন্য সদা থাকব প্রস্তুত
এক ডাকেই সাড়া দিতে...!


জানি তোমায় সুন্দর লাগবে খুব
বেনারসি, ওড়না, মুকুটে...
আমায় যে গ্রাস করবে আঁধার,
নারকীয় সেকেন্ডগুলো ছিড়বে
হৃদয়,বিবেক,অন্তর,আবেগ।
লাল হোলিতে ডুব দিয়ে তাই
একটু ঘুমের কোলে চাই হারাতে।
নিয়ে যেও তুমি সকল মঙ্গল,
সমস্ত দেবীত্ব ঐ বাড়িতে।
সুখ, শান্তি,আনন্দের বন্ধন
আজীবন থাকুক বাঁধা তোমার আচলে।


___________________________________
রচনাকালঃ
১৮ জুন ২০১৮
রাত্রি ৮ টা ৪০