আকাশে আজ কোনো পাখির ডাক নেই,
শুধু একটা অলস ঘুঘু ডেকে যায়—
‘কোথা তুমি? কোথা তুমি?’
বাতাসে আগুনের হলকা,
যেন দূর থেকে ভেসে আসছে পোড়া মাটির গন্ধ।
রাস্তার পিচ গলে জল হয়ে যায়,
রিকশাওয়ালার ক্লান্ত পা আর চলতে চায় না।
কৃষ্ণচূড়ার ডালে আবছা রঙের মাদকতা,
তবুও তাতে নেই কোনো চঞ্চলতা।
সবকিছু স্তব্ধ, নিথর,
যেন সময়ের চাকা থেমে গেছে কোনো অলৌকিক টানে।
খোলা জানালার পর্দাগুলোও আজ স্থির,
একটুও নড়াচড়া নেই তাদের।
ঘরের ভেতর ভ্যাপসা গরম,
শরীরে লাগে এক অলস আবেশ।
তেষ্টা পায়, গলা শুকিয়ে কাঠ,
তবুও উঠতে ইচ্ছে করে না।
মনে হয়, এই তপ্ত দুপুরে
সবকিছু মিশে যাক এক দীর্ঘ ঘুমে।
শুধু মাঝে মাঝে দূর থেকে ভেসে আসে
কোনো ক্লান্ত ফেরিওয়ালার হাঁক,
কিংবা কোনো ঝিমোনো কুকুরের নিশ্বাস।
বৈশাখের এই তপ্ত দুপুরে
পৃথিবী যেন বিশ্রাম চাইছে,
একটু শীতল ছায়ার আশায়।
আর আমার মনেও জমে থাকা ক্লান্তিগুলো
যেন সুযোগ পায় একটু জিরিয়ে নেবার।