আমাদের স্বপ্নগুলো দেখে বাবা অবাক হয়ে যান।
সেদিন তো মাথাঘুরে একবার পড়ে গেছেন।ডাক্তার বলেছেন হাই প্রেশার।
অথচ মনে মনে জানি এ অসুখের নাম ‘বাবার স্বপ্ন।’
আমরা মধ্যবিত্ত।নিম্ন মধ্যবিত্ত।নিম্ন মধ্যবিত্ত।নিম্ন নিম্ন নিম্ন মধ্যবিত্ত।
দাদার শখ অনেক অ...নে….ক বড়ো অফিসার হওয়ার।এত উঁচু যেন আকাশে মাথা ঠেকে।
এক দু টাকা ওর পকেট থেকে খসে গেলে খেয়াল করে না।হয়তো এখন থেকেই অভ্যাস না করলে বেশি বড়ো হওয়া যায় না।
আমার স্বপ্ন সারা পাড়া ঘুরে জাদু দেখানো।সবাইকে কয়েক মুহূর্ত হঠাৎ করে মুগধ করে দেওয়া।
ভাইয়ের কথা তেমন ভালো জানা নেই।
এমনও হতে পারে স্বপ্ন দেখা ওর পছন্দ নয়।
বাবা প্রতিদিন সকাল হলে কাজে বেরিয়ে যান।ফেরেন রাত আটটার দিকে।বাবা বেরিয়ে গেলে আমরাও সারাদিন স্বপ্ন বেচে ফিরি।
বাবার কেরানির কাজ।ছোট অফিস রুমে মানুষ কম ফাইল বেশি।বাবা এক রুম থেকে অন্য রুমে ফাইল পৌঁছে দেন।কিছু ফাইল সাজিয়ে রাখেন আলমারির তাকে।
কিছু ফাইল টেবিলের ওপর।কম্পিউটারের ছোট ছোট ডিজিটে লেখা থাকে বলে খুব সহজে চোখে পড়ে না।চোখে মোটা চশমা।একদিকের ডান্ডি নেই।সুতোয় বাঁধা।অন্যদিকটা ফাইবারের।সকাল থেকে সন্ধ্যে অব্দি ফাইল খুলে বাবা পড়তে থাকেন-“ডাল ভাত আলুসেদ্ধ।ডাল ভাত আলুসেদ্ধ।ডাল ভাত আলুসেদ্ধ।”