বহু ক্রোশ দূর থেকে যখন তোমার কন্ঠস্বর শুনতে পাই,
আমি হওয়াই মিঠাইয়ের মত গলে যাই ।
আমার ভরাট মগজের নিউরন অকার্যকর হয়ে যায়,
কৃষ্ঞচূড়াগুলো আরও লাল হয়ে ওঠে ।
হৃদয়ের মনি কোঠায় তোমার নাম বাজতেই থাকে ।
ঠিক সে সময়, নিঃশ্বাস গরম হয়ে ওঠে ।


প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের মতো আমার বুক মোচড়াতে থাকে ।
কথা বলতে বলতে হাতের কফি ঠাণ্ডা হয়ে যায় ;
আমার অন্তরাত্মার লাশের থেকেও হিমশীতল হয়ে যায় ।
চোখ বন্ধ করে যখন তোমার দুটো চোখের দেখা পাই ,
বিশ্বাস করো আমার নির্বাক নিস্তব্ধ হৃদয় কাঁপতে থাকে ।


জায়নামাজ এ বসেও কাঁটাতারের ওপারে তোমাকেও যখন পাইনা ,
তোমার কণ্ঠস্বর তখন ক্ষীণ হতে শুরু করে ।
আর তারপর?
ভিতর-বাহির নিঃস্ব করে দখিনা হাওয়া বয়
আমার সত্তা পুড়বার ঘ্রাণ তাতে বিদ্যমান,
স্পষ্ট, খুবই স্পষ্ট!