স্রষ্টা তুমি কার-
বুভূক্ষ- জনতার, না-
সুরম্য অট্টালিকার সভ্য সমাজের;
না-রঙিন কাঁচের আস্তরণে ঢাকা-
মখমল গালিচায় শায়িত মানুষের ?
তোমাকে ডাকতে শুনেছি-
রাস্তার বিবস্ত্র ছেলেটার মুখে-
আর শুনেছি সুরম্য অট্টালিকার-
শুভ্র তুলতুলে শয্যায় এলায়িত দেহ কুঞ্চিত-
নির্মম কন্ঠে ;একজন পেয়েছে তোমায়-
আপন করে ভোগের মাঝে;
আর অন্যজন-
ডেকে ডেকে হয়রান
দাওনি সাড়া দাওনি দেখা,
বরষার ছেঁড়া গৃহে কষ্টে কেটেছে-
অসহনীয় রাত ।
সঙ্গীহীন পথচারী ডেকেছে-
কত নাম ধরে-ঈশ্বর-ভগবান-আল্লাহ,
শুধু এক টুকরো বস্ত্র আর-
এক খানা রুটির আশায়;
পথে ছিন্ন মলিন বেশে,
হয়ত জুটেছে-জুটেনি কখনো-
কোন দিন অনাহারে কেটেছে রাত-
কালো তিমিরাবরতে ।
কেউ বা গড়েছে অন্নবস্ত্রের পাহাড়-
একের পর করেছে ভরতি গুদাম,
পঁচে-গলে নিঃসৃত স্রাব ধারা,
তবু দেয়নি ওরা তা বুভূক্ষা মানুষেরে ।
এও তোমারি বিধান-বিধানেরই তরে-
হয়তবা এমনি হবে-অমনিয়ম ছলে,
নিরুত্তর প্রশ্ন জাগে মনে-তুমি কার-
সুরম্য-অট্টালিকার-না,উলঙ্গ ছেলেটার?