কবিতা ভাবের সাগর আর গদ্য হচ্ছে ভাবের নদী ।
অনেকে আমার কথাটি শুনে হয়তো বলবেন, তা কি
করে হয় ! সাহিত্যের দু'টি শাখা, 'কাব্য সাহিত্য, আর
গদ্য সাহিত্য ।আমার জ্ঞানে ,কাব্য কথা দিয়ে যে ব্যাপক ভাব প্রকাশ সম্ভব;গদ্য দিয়ে তত বেশি ভাব
প্রকাশ করা সম্ভব না। কবিতার দু'এক লাইন দিয়ে
যে পরিমান ভাব ব্যাক্ত করা যায়,গদ্যে সে ভাব করতে
দু'দশ পাতার দরকার হয়। আর তাই কবিতার মাধ্যমে সেই ব্যাপক ভাব ব্যাক্ত করতে পারাটা সহজ
তা একটি ছোটট গল্প কথার মাধ্যমে সহজে বুঝতে পারি। তা হলে গল্পটা বলিঃ-
'প্রাচীন কালে এক দেশে এক রাজা ছিলেন। রাজার ছিল এক বুদ্ধিমতি এক কন্যা। রাজা কন্যার বিয়ের কথা
তুলতে রাজ কন্যা বললে,'বাবা,যে রাজ কুমার আমাকে
প্রশ্ন করে ঠকাতে পারবে,তাকে আমি স্বামী রুপে বরণ করে নেব'। রাজা মশায় দেশ-বিদেশে ঢাঁক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষনা করে দিলেন। নিদৃ্সট দিন তারিখে দেশ-বিদেশের রাজ পুত্ররা আসতে লাগল।
এ ঘোষনা শুনে এক চাষী পুত্র ওই অনুস্থানে যোগ
দিতে রওনা দিল। ছেলেটি ছিল গরীব ।এত গরীব যে,তার পায়ে কোন জুতাও ছিল না।আসতে আসতে
সে এক পাটি খড়ম পেল।মনের খায়েশে সেটি পায়ে
পরে নিয়ে হাটতে লাগল।হাটার সময় 'চটং পটং ' 'শব্দ
হতে দেখে ভাবতে লাগল।এক সময় তার মাথায়
উদয় হ'ল-এবং ছন্দ কথা মিল করল,'চটংও পটংও
অরধেক খড়মও, হয়তো ঝনর ঝনর,নয়তো ভনর ভনর'।চাষীর ছেলে রাজবাড়ীর অনুস্থানে উপস্থিত হল
এবং সবার শেষে রাজ বাড়ীর কাড়া-নাকাড়া ঘনটায় আঘাত করল এবং সাথে সাথে তাকে অন্দর মহলে
রাজকন্যার সামনে হাজির করা হল।রাজকন্যা সুদরশন চাষী পুত্রকে প্রশ্ন করতে ব'ল্ল ।যুবকের মনে
গেল সেই পড়ে পাওয়া এক পাটি খড়মের কথা।
সে সাথে সাথে রাজকন্যাকে প্রশ্ন শুনাল''চটং পটং
অরধেক খড়ম,হয়ত ঝনর,নয়ত ভনর ভনর''।
কবিতার ছন্দে প্রশ্ন করে শুধাল,এর মানে বলুন ?
বিদ্যাবতী রাজকন্যে অনেক অনেক ভাবল। কিন্তু তার বিদ্যেই এর কোন অরথ মানেই খুঁজে পেলনা ,
নাপেয়ে চাষী পুত্রকে অরথ বলে দিতে বলল। যুবক
তখন সবিস্তারে ঘটনা বরণনা করল। রাজকন্যে হার
মানল যুবকের কাছে। তারপর ওই চাষীর ছেলের সঙ্গে রাজকন্যের মহাধুম ধামের সাথে বিয়ে হ'ল।
দেখেন ত কাব্য শক্তির ভাব ক্ষমতা কত বড়......!