বাংলা সাহিত্যের মধ্য যুগের শেষ কবি ভারত চন্দ্র রায়
।ভারত চন্দ্র,ঈশ্বর গুপ্ত প্রমুখ কবির রচনায় যুক্তি প্রধান
,বস্তুনিষঠ ও বুদ্ধি প্রাধান্য ছিল।পয়ার ছন্দ এ যুগে  
        কায়েমী হয়ে উঠেছিল।মাইকেলের সাহিত্য ক্লাসিক ধরমী
হলেও রোমান্টিকতার উন্মেষ তাঁর কাব্যে দেখা যায়।পরে
বিহারী লাল চক্রবরতী,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,কাজী নজরুল
ইসলাম,জীবনানন্দ দাস প্রমুখ কবিদের কবিতায় তুঙ্গ
স্পরশী রোমান্টিকতার প্রকাশ দেখা যায়।বাংলা সাহিত্যে
মধ্য যুগে মুসলমান কবিদের কাব্যে রোমান্টিকতার ছড়া
ছড়ি।শাহ মুহাম্মদ সগীরের 'ইউছুপ জো্লেখা',মুহাম্মদ
কবীরের 'মধু মালতী',শাবিরিদ খানের হানিফা কয়রা-
পরী',আলাওলের,'পদ্মাবতী' প্রভৃ্তি রোমান্টিক কাব্য।
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কালেও রোমান্টিকতা অত্য-
ধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।বাংলা সাহিত্যে ভোরের পাখী
হিসেবে খ্যাত বিহারী লালের প্রতিটি কাব্যেই রোমান্টি-
কতার প্রভাব লক্ষনীয়।'প্রেম প্রবাহিনী,কুসুম কানন,
সারদা মঙ্গল,সাধের আসন,প্রভৃ্তি তাঁর জনপ্রিয় রো
মান্টিক কাব্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকু্রের চিত্রা,মানসী,
সোনার তরী প্রভৃতি কাব্য গ্রহ্ন।বিদ্রোহী কবি কাজী
নজরুল ইসলামের প্রতিটি গ্রহ্নেই রোমানটিকতা বি
দ্য মান। জীবনানন্দ দাস,পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের
অনেক কাব্যেই রোমানটিকতার প্রভাব বিস্তার লাভ
করেছে।অতি আধুনিক কালের প্রায় প্রত্যেক কবিদের
কাব্যেই রোমানটিকতার স্থান পেয়েছে।রোমানটিকতা
ও রোমান্স বাংলা কাব্য সাহিত্যের সাথে ওৎপ্রোত
ভাবে জড়িত।