ঈশ্বরগুপ্ত রবীন্দ্রনাথের কবিতা পাশা পাশি তুলনা করলে স্টাইলের ব্যাপারটি বোঝা যায়।গুপ্ত কবির প্
প্রকিতি বিষয়ক কবিতার কথা ধরা যাক।এতে তার ব্যক্তিগত প্রকাশ রীতিটি,এক কথায়,তার ব্যক্তি লক্ষণ
টি বেশ চেনা যায়।যথাঃ-
        আরত বাচিনে প্রাণে,বাপ বাপ বাপ ।
        বাপ বাপ বাপ,একি গুমটের তাপ ।।
উদ্ধরিত গরমের কবিতায় কবির ব্যক্তি লক্ষণটি অতি
পরিস্ফুট।এটি নেহাত ঈশবর গুপ্তের কবিতা বলেই চেনা
যায়।এর পাশে রবীন্দ্রনাথের "নাই রস নাই,দারুন দা-
হন বেলা" কিংবা দারুন অগ্নি বানণেরে,রিদয় তিস্নায়
হানেরে"গান দুটিতে ভাষার ব্যক্তিলক্ষন বা ভঙ্গিকে ছাড়ি
য়েও গভীর অনুভূতির গভীর আবেগে ব্যক্তিগত সীমা
বন্ধন ভেঙ্গে গিয়েছে এবং কাব্য ভাষা অপুরব ভাব দ্যূতি
তে উদ্ভাসিত হয়েছে। গরমের দাবদাহ এবং ক্লান্তি অব-
ও বেদনা কি এক বিশবব্যপী সুর মুরছনার স্রিস্টি করেছে। কিংবা ঈশবর গুপ্তের একটি বরষার কবিতা-
   "সুমধুর কত সুর ভেকে গীত গায়।
   ঝম ঝম ঝম ঝম জলদ বাজায় ।।
এ কবিতার পাশে রবীন্দ্রনাথের অজস্র বরষার গান
ও কবিতা থেকে যে কোন একটি নেয়া যাকঃ-
     চোখ ডুবে যায় নবীন ঘাসে
     ভাবনা ভাসে পুরব বাতাসে
    মল্লার গান প্লাবন জাগায়
    মনের মধ্যে শ্রাবণ গানে।
এ দুটি কবিতাংশ পাশাপাশি তুলনা করলেই বোঝা
যায় যে শুধু ব্যক্তি লক্ষণ নয়,তাকে ছাড়িয়েও আরো
কিছু একটা বস্তুতেই স্টাইলের রহস্য নিহিত। তাকে
এক কথায় বলা যায় ব্যক্তিত্ত ও নৈরব্যক্তিত্তের অই-
কান্তিক মিলন;যা রবীন্দ্রনাথের আছে,ঈশর গুপ্তের
একেবারেই নেই।রবীন্দ্রনাথের কবিতাংশটি ব্যক্তিগত
হয়েও নৈরব্যক্তিক। এই নৈরব্যক্তিত্ত দেখা দেয় লেখকের ব্যক্তিগত প্রতিভা,বস্তুগত যুগপরিবেশ ও
যুগ যুগ বাহিত অইতিহ্য ধারাকে আত্তসাত করবার শক্তির ওপর।