ছবি আঁকে গানের কবি
হৃদয় পটে আঁকে ছবি।
চঞ্চল সেত উতলা হয়ে
বিচ্ছেদ সুর বেদনা লয়ে।
হাজার প্রেমিক-প্রেমিকার ভিড়ে
উতল করে সে আমায় ঘিরে।
বসন্ত চপলিকা
তার চাহনী বাকা।
হরে নেয় ক্ষণেক প্রাণ।
সে মোর হিয়া ঘিরে
ভাসিছে অশ্রু নীরে।
চলে গেছে ভূবন তরুর ছায়ে
আপন মনে আঁচল উড়িয়ে বায়ে।
ক্ষণেক দিনের ক্ষণেক দেখা
ললাটে মম বিধির লেখা।
শুন্য মরুর বুকের পরে
বাঁধে নীড় সুখের তরে।
নীল সাগরে স্রোতে ভেসে
গেছে সে হাওয়ায় মিশে।
গানের পাখী করুণ সুরে
সাথীহারা গান গেয়ে ফিরে।
কাব্য মাঝে খুঁজিছে কারে
বিদায় বেলা ডাকিছে মোরে।
যবনীকার টীপ পরিয়ে দিতে
পরপারের সাথী করে নিতে।
বহুদিন ধরে
খুজিছে তোমারে।
বলাকার মত পাখা মেলে
হৃদয় মনের আগুন জবেলে।
উজাড় করি বিলিয়ে দিয়ে
জীবন মেলায় কি পেয়ে?
ব্যথা বেদনার অশ্রু ডালি
বেদনার সুর দিয়েছ ঢালি।
তুমি যে গানের পাখী
কাহারে বেড়াও ডাকি।
আবাহনে প্রিয়ারে বুঝি
একাকি তারে ফিরিছ খুজি।
সেই মন্দাকিনীর দেশে
গানের বাঁশরী বেশে।
উঠিছে সে সুর বাগে
করুণ রাগিণীর রাগে!